পেগাসাস নিয়ে উত্তাল দেশ! এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে কার্যত বিরোধীদের তোপের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই পরিস্থিতে সরকারের আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে দ্বিতীয় রিপোর্টটি। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ভোটের আগে খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরেও ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে।
তালিকাতে আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা রয়েছেন। তবে তাঁরা কারা এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই বিক্ষোভে তৃণমূল সাংসদরা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সরকারের বক্তব্য চেয়ে রাজ্যসভা এবং লোকসভাতে নোটিশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় এই ইস্যুতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংসদরা। কখনও সংসদের বাইরে আবার কখনও সংসদের মধ্যে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় তৃণমূলের সমস্ত সাংসদদের। কার্যত ঘরে-বাইরে প্রবল অস্বস্তির মধ্যে মোদী সরকার। যদিও সরকারের দাবি, অধিবেশনের আগে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই খবর সামনে আনা হয়েছে। ষড়যন্ত্র বলেও অভিযোগ শাহের।
যদিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পেগাসাসে সরকার কোনও ভাবে জড়িত নয়। এর থেকে বেশি কোনও কিছুই স্পষ্ট করেনি সরকার। কেন এমন লুকোচুপি? কার্যত মোদী সরকারকে একহাত নেন তৃণমূলের এই সাংসদ। একই সঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনও হ্যাক করা হয়েছে। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। সোমবার রাতে নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে দাবি সুদীপের। মূলত এই বিষয়ে সংসদে তৃণমূলের রণকৌশল নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
আর তা আলোচনা করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর আশঙ্কার কথা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, আগে বহুবার ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে বলে বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ফের একবার সেই আশঙ্কার কথাই সাংসদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ বলেছেন, সোমবার রাতে এই স্পাইওয়ার নিয়ে কথা হচ্ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সেখানে তাঁর ফোনেও এই স্পাইওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে দাবি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র যে আড়ি পাততে পাড়ে সেই আশঙ্কা বহুদিনের। আর সেই আশঙ্কা থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে একাধিক তৃণমূলে বৈঠকে ফোন ব্যবহার করা হত না। বিশেষ করে ভোটের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে ফোন বাইরে রেখে চলত বৈঠক। সূত্রের খবর, একাধিকবার অভিষেক, প্রশান্ত এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসেছেন কিন্তু ফোন বাইরে রেখে।