তিনি অতীতের ছাত্রনেতা। গ্রাজুয়েশনের সময় পাঠ্যসূচির সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চারবার ফেল করে ৩ বছরের কোর্স ৭ বছরে শেষ করেন। এবং সেইসঙ্গেই অর্জন করেন ‘ফেলুদা’ তকমা। কিন্তু সেই তিনিই কিনা মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে ট্রোল করছেন! যদিও হাতেনাতে এর শিক্ষাও পেতে হল তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় পাশের হারে সর্বকালীন রেকর্ড। নজির গড়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ৭৯ জন। সকলেই পেয়েছেন ৭০০-এ ৬৯৭। বেনজির এই রেজাল্ট নিয়ে রাজ্য সরকারকেই কটাক্ষ করে ফেসবুক পোস্ট করেন শতরূপ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে তাঁর কাছে। পালটা নেটিজেনরাই তাঁকে ট্রোল করতে শুরু করেন।
এদিন মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরতেই শতরূপ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘একসাথে ৭৯ জন ছায়া প্রকাশনীর মডেল!’ মুহূর্তের মধ্যেই এই পোস্ট নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর পোস্টের নীচে পড়তে থাকে একের পর এক কমেন্ট। কেউ লেখেন, ‘এ বছর ফেলের হার তো তোমাদের এমএলএ সংখ্যার সমান।’ তো কেউ লেখেন, ‘মাধ্যমিকে ফেলের সংখ্যা যা, সিপিএম-এর বিধায়ক সংখ্যাও তাই।’
কেউ আবার এমনও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন যে, ‘আমাদের শতরূপদা যা ভোট পেয়েছিলেন, ওই ৭৯ জনের নম্বর যোগ করলে তার চেয়ে বেশি হবে।’ সব মিলিয়ে শতরূপের এই পোস্ট নেটিজেনদের কাছে হাসির খোরাকে পরিণত হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ট্রোলিং চলে নেটপাড়ায়।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট একটি ভোটও পায়নি। ফলে রাজ্যে তাঁদের বিধায়ক সংখ্যা শূন্য। একইসঙ্গে কসবা বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তৃতীয়বারের জন্য হেরেছেন শতরূপ। এ নিয়ে বারবারই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। এবার মাধ্যমিকের ফল নিয়ে ট্রোল করতে গিয়ে ফের একবার ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হল হারের হ্যাট্রট্রিক করা আলিমুদ্দিনের ‘ফেলুদা’কে।