পেগাসাস স্পাইওয়ারের মাধ্যমে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। প্রায় ২ বছর আগে হোয়াটস অ্যাপ এ খবর জানানোর পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশ জুড়ে। গত রবিবার ফের শোনা যায়, পেগাসাসের মাধ্যমে দু’জন মন্ত্রী, বিরোধী নেতা ও শিল্পপতিদের ফোনে নজরদারি চালানো হচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে অন্তত ৪০ জন সাংবাদিকের ফোনেও। এই নজরদারির প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া থেকে বলা হয়েছে, এই প্রথমবার গণতন্ত্রের বিভিন্ন স্তম্ভের ওপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে। একটি টুইটে ওই সংগঠন বলে, ‘আমাদের দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার বিচারব্যবস্থা, সংসদ, গণমাধ্যম, আমলা ও মন্ত্রীদের ওপরে গোপনে নজর রাখা হচ্ছে।’ প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার বক্তব্য, খারাপ উদ্দেশ্যেই এই নজরদারি চালানো হয়েছে।
প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার দাবি, ‘সবচেয়ে আপত্তিকর ব্যাপার হল, একটি বিদেশি সংস্থা আমাদের দেশের নাগরিকদের গোপন তথ্য সংগ্রহ করছে। সরকারের স্পষ্ট জানানো উচিত, কী ঘটেছিল।’ মুম্বই প্রেস ক্লাব দাবি করেছে, এসম্পর্কে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। টুইট করে ওই সংস্থা বলেছে, ‘যাঁদের ওপরে নজরদারি চালানো হচ্ছিল, তাঁদের মধ্যে ৪০ জন সাংবাদিকও আছেন। সরকার এখনও এসম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি। পেগাসাস সফটওয়ার একমাত্র সরকারকেই বিক্রি করা হয়। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে স্বাধীন কোনও সংস্থার তদন্ত করা উচিত।’ অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান উইমেনস প্রেস ক্লাব-এর তরফ থেকেও স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনও পরিস্থিতিতেই সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে আপোস করা যায় না।