সোমবার দেশে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা, করোনায় মৃত রোগীদের দেহের সৎকার এবং বিভিন্ন হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নগ্ন বাস্তব তুলে ধরে শীর্ষ আদালতের বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ, হাসপাতাল যেন লাভজনক শিল্পক্ষেত্র। এগুলি আর মানুষের সেবা করে না। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এবং বিচারপতি এম আর শাহর ডিভিশন বেঞ্চ সরাসরি প্রশ্ন তোলে, ‘আচ্ছা হাসপাতালগুলিকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত, নাকি রিয়েল এস্টেটের মতো ব্যবসা?’
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় বলেন, যে সব হাসপাতাল মানুষের বিপদের সুযোগে ফায়দা তোলার চেষ্টা করে, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, “মানুষের দুর্ভোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালগুলি যেন ব্যবসার জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে। মানুষের জীবনের বিনিময়ে এভাবে হাসপাতালগুলির ফায়দা বরদাস্ত করা যাবে না। এই ধরনের হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এবং সরকারের উচিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করা।”
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আচরণে চরম ক্ষুব্ধ বিচারপতি। একটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একজন রোগী বহু চিকিৎসার পর করোনা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। পরেরদিন তাঁর ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল। সেদিনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তাঁকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিল। ওই ঘটনায় দু’জন নার্সেরও মৃত্যু হল। চোখের সামনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এই হাসপাতালগুলি কি মানুষের সেবা করছে? নাকি রিয়েল এস্টেট শিল্প?’ বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি গুজরাত সরকারকেও তুলোধোনা করেছে শীর্ষ আদালত।