দিনের আলোতেই তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়ির সামনে গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় কোচবিহার রীতিমতো তোলপাড়। শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা। গুলি চালানোর অভিযোগকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ কোনও হদিশ করতে পারেনি। অভিযোগের তির অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাদের সাথে কি যোগ রয়েছে বিজেপির? উঠছে প্রশ্ন। কোতোয়ালি থানার পুলিশ বাড়ির সামনে থেকে গুলির পরিত্যক্ত কার্তুজ উদ্ধার করেছে বাড়ির উঠোন থেকে ৷ সূত্র অনুযায়ী, দুষ্কৃতীরা কিছু যুবকের ধাওয়া করে পিছু নিয়েছিল। অভিযোগ, যুবকরা আতঙ্কে পালানোর সময় পার্থপ্রতিমবাবুর বাড়ির সামনের দরজা খোলা দেখে ঢুকে পড়ে। পরে পিছু ধাওয়া করে ওই এলাকায় চলে আসে দুষ্কৃতীরা। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। অভিযোগ, তারা বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়।
তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ৷ পুলিশ জানিয়েছে মারুতি ভ্যানে চেপে এক দল দুষ্কৃতী এসেছিল। এরপরই তারা গুলি চালায় ৷ পুলিশের অনুমান, বাড়ি লাগোয়া জিরানপুর বাজারের স্থানীয় যুবকদের সাথে ব্যাক্তিগত শত্রুতার কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে ৷ দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়ার আগে ওই যুবকদের একটি বাইক নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এর পিছনে কি কারণ স্পষ্ট নয়। কেন এ ভাবে দুষ্কৃতীরা হানা দিয়ে গুলি চালাল পুলিশ তদন্ত করলে স্পষ্ট হবে ৷ বাড়িতে বয়স্ক বাবা মা ছিলেন। তাঁরা সহ গোটা গ্রামবাসীরাই আতঙ্কিত ৷ দিনের বেলা এভাবে কোচবিহারের মতো শহরে গুলি চলবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।” অবশ্য এর জেরে কারও পদত্যাগ চাননি পার্থবাবু।