মোদী রাজ্যের উদয় শিবানন্দ হাসপাতালের ঘটনা-সহ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের একাধিক উদাহরণ থাকা সত্ত্বেও করোনা হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকার তাদের নির্দেশিকা তুলে নেওয়ায় এবার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল গুজরাত সরকার। শীর্ষ আদালত কড়া ভাষায় বলেছে, ‘এই নির্দেশিকা হাসপাতালগুলিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না নেওয়ার আরও সময় দিল। যতদিন ওরা পদক্ষেপ করবে না, এভাবেই রোগীরা জ্বলে-পুড়ে মরবে।’
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘যখন আমরা কোনও নির্দেশ দিই, তার ওপর কোনও প্রশাসনিক নির্দেশিকা চাপানো যায় না। এবার আপনারা বলবেন যে ২০২২ সাল অবধি হাসপাতালগুলিকে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে না এবং সাধারণ মানুষ এভাবেই পুড়ে মরে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নাসিকে একজন রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন, পরেরদিনই ছাড়া পেতেন। দুইজন নার্স শৌচালয় গিয়েছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে তারা সকলেই জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান। এইধরনের বিপর্যয় আমাদের চোখের সামনেই হয়েছে। হাসপাতালগুলি এখন বড় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এবং তারা সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করেই বাঁচে। চারটি ছোট ঘরের মধ্যে তৈরি হাসপাতালগুলি বন্ধ করতে হবে।’
গুজরাত সরকারের সমালোচনা করে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, ‘এই নির্দেশিকা দেখে মনে হচ্ছে রাজ্য বেআইনি কাজকর্মকেই সুরক্ষা দিচ্ছে।’ এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য সরকারকে একটি হলফনামার মাধ্যমে জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে হাসপাতালে যে অগ্নি সুরক্ষা নিয়ে অডিট করা হয়েছিল, তার রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গুজরাত সরকারের তরফে জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাওয়া হলে সুপ্রিম কোর্ট গত বছর নভেম্বরে রাজকোটে উদয় শিবানন্দ হাসপাতালে আগুন লাগার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, ‘আপনাদের মতে সবকিছুই ঠিক রয়েছে, কিন্তু আপনাদের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্টই অন্য কথা বলছে।’