সোমবার থেকে শুরু হল সংসদের বাদল অধিবেশন। আর পাঁচটা অধিবেশনের থেকে এই বাদল অধিবেশন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি। আর সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর ডাকে সর্বদল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাজির ছিলেন বটে, তবে তাঁর যোগদান নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদল বৈঠকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মোদী ছিলেন মাত্র ৯ মিনিট। এবার সেই ৯ মিনিটকে ভাগ করে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক-যোগদানকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন।
সর্বদল বৈঠকের পরই টুইটে বৈঠকের ছবি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন, ‘সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম। সংগঠিতভাবে প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা, বিতর্কের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি।’ আর প্রধানমন্ত্রীর সেই ট্যুইটের পরই আসরে নামেন ডেরেক। প্রধানমন্ত্রীর টুইট রিটুইট করে তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখপাত্র পাল্টা লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্যার, সত্যিই। আপনি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সংসদের বিষয়ে বৈঠক হয়েছে ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। আমরা আপনার সঙ্গলাভ করেছি ৯ মিনিটের জন্য। আপনি শুনেছেন ৩ মিনিট, আলোকচিত্রী ও ভিডিওগ্রাফারদের সময় দিয়েছেন ২ মিনিট আর বলেছেন ৪ মিনিট।’ বলাবাহুল্য, সর্বদল বৈঠককে আদৌ নরেন্দ্র মোদী কতটা গুরুত্ব দেন, তা সময় উল্লেখ করে বোঝানো ও আক্রমণের পথেই হেঁটেছেন ডেরেক।
রবিবারের সর্বদল বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়াল, তৃণমূলের তরফে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের তরফে অধীর চৌধুরী, সমাজবাদী পার্টির তরফে রামগোপাল যাদব, বহুজন সমাজ পার্টি, বিজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, জেডি(ইউ), আরজেডি, টি আর এস, টি ডি পি, ডিএমকে, আইডিএমকে, শিরোমনি অকালি দল, ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ অন্যান্য দলের নেতারা। আর সেই বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এবারের বাদল অধিবেশনে সরকারকে চাপে ফেলার প্রবল চেষ্টা চালাবে বিরোধীরা।
মূলত পেট্রোল ডিজেলের দামবৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্রের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এবার সবচেয়ে বেশি সরব হওয়ার কথা বিরোধীদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রবিবার সর্বদল বৈঠকে মোদি জানান, বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে করোনা নিয়ে তিনি আলাদা করে মঙ্গলবার কথা বলবেন। যদিও তা মানতে রাজি হয়নি বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী কেন করোনা নিয়ে সংসদে বিবৃতি দেবেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় শাসক দলকে কোনঠাসা করতে একজোট হয়েই যে বিরোধীরা আক্রমণ শানাতে চলছে, তা রবিবারের বৈঠকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।