একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তাঁর দল। ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের নানা প্রান্তে পা বাড়িয়েছে তাঁর দল। আঞ্চলিক থেকে হয়ে উঠেছে জাতীয়। আসাম, ত্রিপুরা, পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যে মাথা তুলেছে ঘাসফুল। এদিকে জাতীয় স্তরে মমতার জনপ্রিয়তাও যে আরও বাড়ছে, তার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ আসন্ন ২১ জুলাই বাংলার পাশাপাশি দিল্লী, গুজরাতেও নেত্রীর বার্তা পৌঁছে যাবে। এসব জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো হবে মমতার বক্তৃতা। তাছাড়া সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে ‘আম্মা’রূপে দেওয়াল লিখনে ফুটে উঠেছে মমতার অবয়ব। আর তাঁর এই সর্বজনীনতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের প্রতিটি ভাষায় তাঁর লেখা নাম ফুটে উঠছে উত্তর কলকাতার দেওয়ালে। দেশের মানচিত্রের প্রতিটি রাজ্যে সেখানকার আঞ্চলিক ভাষায় লেখা হচ্ছে – মা মমতা। উদ্যোক্তা হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তর কলকাতা ১২×১৬ ফুট দেওয়ালে নানা রং দিয়ে আঁকা হয়েছে ভারতের এক বড়সড় মানচিত্র। ২৯ রাজ্য রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ২৯ টি পৃথক রঙে। আর তার মধ্যেই লেখা – মা মমতা। শুধু তাই নয়। প্রত্যেকটি রাজ্যের যে আঞ্চলিক ভাষা, সেই ভাষাতেই মানচিত্রে রাজ্যগুলির মধ্যে লেখা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। পাশেই আঁকা লড়াইয়ের মুখ – তৃণমূল সুপ্রিমোর অবয়ব। সাদা-কালো তুলির টানে। এহেন অভিনব কর্মকাণ্ডের মূল উদ্যোক্তা হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের উদ্যোগেই উত্তর কলকাতায় এমন দেওয়াল লিখন। কাজ কম নয় কিছু। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথম দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিরোধী দলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ অতি তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যে শান দেওয়ার কাজটি হয়ত এই দিল্লী সফর থেকেই শুরু করবেন তিনি। তার আগেই দেশের প্রতি রাজ্যে ‘মা মমতা’কে পৌঁছে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব নিয়েছে যুব তৃণমূল।