রাজ্যকে পর্যাপ্ত টিকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আর জোগান কম থাকায় শ্লথ হচ্ছে টিকাকরণের গতি। শুরু থেকেই এই অভিযোগ উঠছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। এবার রাজ্যে বস্তি এলাকাগুলিতে টিকাকরণ কম হয়েছে বলে জানিয়ে ফের কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার টক টু কেএমসি-তে তাঁকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, কলকাতা শহরে মোট বস্তি এলাকায় ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মাত্র ২১ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে। আর গোটা রাজ্যে এই হিসেব ২৭ শতাংশ। ফিরহাদের দাবি, রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিনের জোগান কম থাকায় টিকাকরণের গতি কমেছে। সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া এখনও সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের একটি পরিসংখ্যাণে জানানো হয়, সমস্ত জেলার বস্তি এলাকাগুলিতে টিকাকরণ কম হয়েছে। গোটা রাজ্যে বস্তিগুলিতে ১৮ ঊর্ধ্বদের মাত্র ২৭ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কলকাতা শহরে এই সংখ্যা ২১ শতাংশের কাছাকাছি। তবে সেই সঙ্গেই মন্ত্রীর দাবি, বস্তিগুলিতে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে টিকাকরণ খুব ভাল হয়েছে। প্রায় ১০০ শতাংশকেই কোভিডের টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে গতকালই নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ নিগম। বৈঠক শেষে জানানো হয়েছিল, রাজ্যে টিকাকরণের গতি আরও বাড়াতে হবে। বিশেষ করে বস্তি এলাকাগুলিতে এখনও ঠিকমতো টিকাকরণ হচ্ছে না বলেই জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব।
সেই প্রসঙ্গেই এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্যের মোট বরাদ্দের তুলনায় কম ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সকলকে টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মন্ত্রী জানান, রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিনের জোগান মাত্র ১৫ শতাংশ। ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান এলেই শহরের সমস্ত বস্তি এলাকায় সম্পূর্ণ টিকাকরণ করা সম্ভব হবে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যাঁরা টিকার ডোজ এখনও পাননি, তাঁদের সকলকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।