আগামী বছরই পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দুই রাজ্যের ভোটকেই বলা হচ্ছে সেমিফাইনাল। আর সেই ভোটের আগেই হঠাৎই বরফ গলল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও গান্ধী পরিবারের মধ্যে। বছর চারেক আগে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে ব্যর্থতার পর পিকের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর যে বিচ্ছেদ রচিত হয়েছিল, মঙ্গলবার দিল্লীতে সেই পর্ব যেন সমাপ্ত হল। গতকাল রাহুল এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশান্ত কিশোর। শুধু রাহুল-প্রিয়াঙ্কাই নন, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে পিকের। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং কে সি বেনুগোপালের সঙ্গে রাহুলের বাসভবনেই বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর। রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এই বৈঠকের প্রধান কারণ কী, কী কথা রাহুল-প্রশান্তের, শুধুই উত্তরপ্রদেশ-পঞ্জাবের নির্বাচন নাকি এই বৈঠকের অন্য কোনও তাৎপর্য আছে ,এই নিয়েই রহস্য ঘনাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল সোনিয়ার সঙ্গে প্রশান্তের ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা। আর তারপরই রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, ২০২৪-এর লক্ষ্যেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। আর সেই কারণেই এবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সংঘাতে ইতি টেনেছেন তিনি।
বস্তুত গতবারের উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই রাহুলের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল পিকের। কিন্তু গতকালের বৈঠক এক লহমায় দুজনকে ফের কাছাকাছি এনে দিয়েছে। বাংলার ভোটে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার অন্যতম কারিগর ছিলেন পিকে। এবার তাঁর লক্ষ্য গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে তুলে ধরে ২০২৪-এ মোদীকে গদিচ্যুত করা। সেই লক্ষ্যেই বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে সক্রিয় হয়েছেন তিনি। আগেই পিকে জানিয়েছিলেন, শুধু ‘থার্ড ফ্রন্ট’ গড়ে বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। তাই লোকসভার আগে বিজেপি বিরোধী একটা বিকল্প গড়ে তুলতে সম্প্রতি শরদ পাওয়ার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন তিনি। এবার গান্ধী পরিবারের শরণাপন্ন হতে দেখা গেল তাঁকে।