বামেদের একসময় শক্ত ঘাঁটি ছিল উত্তরবঙ্গ। কিন্তু ২০১১ সালে সরকারে আসার পর তাসের ঘরের মতো সেখানে সংগঠন ভেঙে পড়ে বামেদের। বিপুল দুর্নীতির কারণে বহু চেষ্টার পরেও বামেরা সাধারণ মানুষের মনে বিশ্বাসযোগ্যতা ফেরাতে পারেনি। কিন্তু বামেদের সেই জায়গা বর্তমানে দখল করেছে বিজেপি। গোটা বাংলায় তাঁদের লক্ষ্য ছিল ২০০টি আসন। কিন্তু মাত্র ৭৭টি আসনে জয়লাভ করলেও গেরুয়া শিবিরের সার্বিক সফলতা হার উত্তরবঙ্গেই। ফলত তৃণমূলের এখন অন্যতম লক্ষ্য হলো উত্তরবঙ্গের মানুষের মনে তৃণমূলের প্রতি বিশ্বাস যোগ্যতা ফেরানো।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যে পর্যালোচনার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস ফেরানো ছাড়াও সংগঠন গোছাতে কাজে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংগঠনিক দায়িত্বভার তৃণমূল নেত্রী তার ওপরই তুলে দিয়েছেন। এরপরই বিভিন্ন প্রবীণ নেতাদের সাংগঠনিক শক্তিকে ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করে দিয়েছে জোড়াফুল শিবির।
কিছুদিনের মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফর। সেখানে বিভিন্ন জেলার সংগঠনের সঙ্গে বসে পরবর্তী পরিকল্পনা ঠিক করবেন বলেই আশা করা যায়। যুব সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। সেটি একসময় মুকুল রায়ের হাতে থাকলেও দল এখন অভিষেকের মতো তরুণ রক্তের ওপরেই আস্থা রাখছে। উত্তরবঙ্গের সংগঠন কে শক্তিশালী করার জন্য অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ সহ বিভিন্ন নেতাদের দায়িত্ব পেলেও তেমন ফল ভালো হয়নি। তাই স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো উত্তরবঙ্গ ফেরাতে অভিষেকের উপরই আস্থা রাখছেন।