দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যকে পরিচ্ছন্ন রাখতে অভিযানে নামছে সরকার। এই ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ঠিক হবে অভিযানের রূপরেখা। রাজ্যের সৌন্দর্য রক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় খতিয়ে দেখা হবে তাও।
দক্ষিণেশ্বরে বিশ্বমানের স্কাইওয়াক উদ্বোধনের পরদিনই পিক ফেলে নোংরা করা হয়েছিল। একই দৃশ্য বিশ্ববাংলার সুদৃশ্য গেটেও। খবর পাওয়া ইস্তক প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তখনই সিদ্ধান্ত নেন সৌন্দর্যায়ন রক্ষায় নাগরিকদের সচেতন করতে উদ্যোগ নেবে রাজ্য সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই আজ বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে অনেক অভিযোগ এসেছে তাঁর কাছে। সাধারণ মানুষের সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই আজ বিশেষ বৈঠক নবান্নে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নতুন সাজে সেজে উঠেছে বাংলা। অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর সঙ্গে চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বড় সমস্যা পান-গুটখার পিক অথবা যত্রতত্র থুতু। তাই সৌন্দর্যায়নকে রক্ষা করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সেই জন্য ইতিমধ্যেই ‘সেভ গ্রিন, কিপ ক্লিন’ স্লোগান তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাস্তাঘাটে, অফিসে প্রকাশ্যে থুতু, পান-গুটখার পিক ফেলা বন্ধ করতে কঠোর মনোভাব নিচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকে থুতু ফেললে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এবার একইভাবে রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত নোংরা করলে অভিযুক্তকে পরিষ্কার করতে হবে, নয়তো হবে মোটা টাকা জরিমানা।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রতিবছর প্রায় ১২ থেকে ১৩ কোটি টাকা খরচ করে নগরায়ন দপ্তর সেতু ও উড়ালপুল রক্ষণাবেক্ষণে দামি রঙ করে। কিন্তু রঙ শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরেই পিক-থুতু ফেলে সব নষ্ট করা হচ্ছে। তাই সরকার এবার সৌন্দর্যায়নে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে।