কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পরই প্রত্যাশিত শরিকি বিবাদে জড়াল বিজেপি। বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়ে বিজেপিকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া শিবিরের জোট সঙ্গী নিষাদ পার্টির প্রধান সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর সাফ কথা, বিজেপি যদি এই ভুল শুধরে না নেয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ফল ভুগতে হবে।
এই মুহূর্তে মোদী-শাহর পাখির চোখ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। যেখানে যোগী আদিত্যনাথের গদি বাঁচাতে রীতিমতো চাপের মুখে পড়তে হতে পারে বিজেপিকে। সেকারণেই সম্ভবত মন্ত্রিসভার রদবদলের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ বিজেপিকে ‘বুস্টার ডোজ’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন মন্ত্রিসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন আট মন্ত্রী। সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের মতো প্রবীণকে সরিয়ে এস পি সিংহ বাঘেল, ভানুপ্রতাপ সিংহ বর্মা, কৌশল কিশোর, বি এল বর্মা, অজয়কুমার মিশ্রের মতো নেতাদের মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছে। জায়গা দেওয়া হয়েছে বিজেপির জোট সঙ্গী আপনা দলের নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেলকেও। এখানেই আপত্তি নিষাদ পার্টির। তাঁদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আপনা দলের মতো ছোট দলের প্রতিনিধি থাকতে পারলে, তাঁদের প্রতিনিধি কেন থাকবে না?
আসলে দীর্ঘদিন ধরেই নিজের ছেলে তথা সাংসদ প্রবীণ নিষাদের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দাবি করে আসছিলেন নিষাদ পার্টির সাংসদ সঞ্জয় নিষাদ। কিন্তু তাঁর দাবি শেষপর্যন্ত মানেনি বিজেপি। মন্ত্রিসভায় প্রবীণকে জায়গা দেওয়া হয়নি। জায়গা পেয়েছেন আপনা দলের অনুপ্রিয়া। গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর বক্তব্য, ‘অনুপ্রিয়া প্যাটেল যদি মন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে প্রবীণ নিষাদ কেন পারবেন না? নিষাদ সম্প্রদায়ের মানুষ এমনিতেই বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করছে। এই ভুল শুধরে না নিলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ফল ভুগতে হবে’। সঞ্জয় নিষাদের হুঁশিয়ারি, প্রবীণের প্রভাব আছে রাজ্যের ১৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। অনুপ্রিয়ার তো সামান্য কয়েকটি আসনে প্রভাব। এবার বিজেপির কোর্টে বল। ওদেরই ঠিক করতে হবে, কীভাবে তাঁরা প্রবীণের ব্যাপারটি দেখবে। যদিও সঞ্জয় নিষাদ জানিয়েছেন, তাঁর দল এখনই বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছে না।