গতকাল রাতে ফের সেনা-জঙ্গী সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উপত্যকা। জানা গিয়েছে, পুলওয়ামার পুচাল অঞ্চলে এই সঙ্ঘর্ষ হয়েছে। মারা পড়েছে অন্তত দু’জন জঙ্গি। ফাঁদে পড়েছে আরও দু’জন। আজ পুলিশের তরফ থেকে টুইটারে পোস্ট করে জানানো হয়েছে এই খবর। ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কাশ্মীর উপত্যকায় নিহত হয়েছে মোট পাঁচ জঙ্গী। পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (কাশ্মীর জোন) বিজয় কুমার বলেন, “কাশ্মীরে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। এই অভিযানে সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সেজন্য পুলিশকে অভিনন্দন জানাই।” বুধবার রাতে কুলগাম জেলার জদুর অঞ্চলে নিহত হয়েছে দুই জঙ্গী। তারা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট লস্কর ই তৈবার সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
আফগানিস্তানে ফের তালিবানের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাশ্মীরের জঙ্গীরা উন্নত অস্ত্রশস্ত্র পেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। কারণ মার্কিন সৈন্যের থেকে বিপুল সংখ্যক স্নাইপার রাইফেল, হ্যান্ড হেল্ড রেডার এবং শোল্ডার ফায়ারড মিসাইল কেড়ে নিয়েছে তালিবান। সেই অস্ত্র এবার জম্মু-কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের হাতেও আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই কাশ্মীরে জৈশ ই মহম্মদ ও লস্কর ই তৈবার জঙ্গীদের কাছে আমেরিকায় নির্মিত এম ফোর রাইফেল পেয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তার ওপরে আফগানিস্তানে যদি জেহাদিরা জয়ী হয়, তাহলে কাশ্মীর বাদে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে, বিশেষত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও জঙ্গীরা তৎপর হয়ে উঠতে পারে।
এরই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট করাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জন্য কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কাশ্মীরের রাজনীতিকরা দাবি করেন, ফের জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। বিধানসভা ভোট হোক তারপরে। প্রধানমন্ত্রী যদিও এই ব্যাপারে কোনও আশ্বাস দেননি। বৈঠকের পর
গুপকারের মুখপাত্র ইউসুফ তারিগামি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে কোনও লাভ হয়নি।