এবার প্রতারক সনাতন মামলায় বিজেপিকে চিঠি দিতে চলেছে লালবাজার। ভুয়ো সরকারি আধিকারিক সনাতন রায় চৌধুরির কাছ থেকে ২০১৪ সালে বিজেপির প্রাথমিক সদস্য পদের রশিদ মিলেছে। প্রতারণার কাজে গেরুয়া শিবিরের কারও সঙ্গে সনাতনের যোগাযোগ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় লালবাজার।
সনাতনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। তাঁর নামে কতগুলি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, কার কার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তার খোঁজ করা হচ্ছে। কত মানুষকে কত দিন ধরে প্রতারণা করেছিলেন সনাতন রায় চৌধুরী? ভুয়ো পরিচয় দেওয়ার পিছনে উদ্দেশ্যই বা কী ছিল? এ সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। গ্রেফতারির পর সনাতনের বাড়িতে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও সংস্থার নথি। তার ভিত্তিতেই বেশ কয়েকটি দফতরকে চিঠি দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সনাতনের আয়ের উৎস জানারও চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সনাতন জানিয়েছেন, ভারতের প্রতিনিধি হয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস এবং ইন্দো-জাপান সম্মেলন যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও আরও বেশকিছু দেশে তিনি ভ্রমণ করেছেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সনাতনের থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রককে চিঠি পাঠচ্ছে কলকাতা পুলিশ।