আজ বিকেলেই ঘোষণা হবে সম্প্রসারিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম। তার আগেই নীতীশ কুমার-র দলের তরফে মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে চারটি আসনের দাবি জানানো হল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিজে কিছু না বললেও এ দিন জনতা দল ইউনাইটেডের এক শীর্ষ নেতা সাফ জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় চারটির কম আসন কিছুতেই মানবে না দল।
বিগত কয়েক মাস ধরেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে জল্পনা চলছিল। তবে রাখ-ঢাক করেই কেন্দ্রীয় বৈঠকে নতুন মন্ত্রীদের নাম বেছে নেওয়া হয়। সূত্র অনুযায়ী, মন্ত্রীসভার সম্প্রসারণে তরুণদেরই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেতাদেরই এই নতুন মন্ত্রীসভায় জায়গা করে দেওয়া হবে।
গতকালই মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসার পরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানান, জেডিইউ সরকারের সঙ্গে রয়েছে এবং তাদের যে’কটি আসন দেওয়া হবে, তাই-ই গ্রহণ করা হবে। তবে বেলা গড়াতেই দলের অন্দরে আসন সংখ্যা নিয়ে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। এক জেডিইউ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্যাবিনেটে জেডিইউ সঠিক সংখ্যক আসন পেলেই সরকারকে সমর্থন জানাবে’। সূত্র মতে, ওই নেতা জানিয়েছেন, জেডিইউকে কেবল দুটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় দল। জনতা দলের ১৬ জন সাংসদ আছে, সেই হিসাবে তাদের কমপক্ষে চারটি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
মোদীর সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় যাদের নাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, নারায়ণ রাণে, অনুপ্রিয়া পটেল, পঙ্কজ চৌধুরি প্রমুখ। রাম বিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি কুমার পরসও মন্ত্রীসভায় দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।