বিধানসভা ভোটে বঙ্গ বিজয়ের পর এখন তৃণমূলের পাখির চোখ দিল্লি। সেই লক্ষ্যেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। ফল প্রকাশের পর টুইটারে ‘বেঙ্গলি প্রাইম মিনিস্টার’ ট্রেন্ডও হয়। এমন প্রেক্ষাপটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুললেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত। বললেন, ‘মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করলেই তেলের দাম কমবে’।
পেট্রোল-ডিজেলের মুল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বারাসতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক বলেন, ‘আমাদের মহান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। যিনি একটা রাজ্যে বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেন। তার মানে তাঁর এতটাই জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি একজন উপযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী। শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করলেই তেলের দাম কমবে।’
জ্বালানির দামবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে চিরঞ্জিৎ আরও বলেন, ‘দাম আরও বাড়বে। কারণ ওদের বিনামূল্যে ইঞ্জেকশন দিতে হবে, ওই টাকাটা আমাদের থেকে তুলে নেবে’। সেই সঙ্গে বারাসতের বিধায়ক বলেছেন, ‘যদি সারা ভারতবর্ষ জুড়ে কন্যাশ্রী হয়, স্বাস্থ্যসাথী হয়, তাহলে তো সোনার ভারতবর্ষ হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী যাতে হতে পারেন, প্রথম ভারতবর্ষের বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন যাতে সেই চেষ্টা আমাদের সকলকে করতে হবে’।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে একটা বড় জায়গায় পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়রা। বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে গোটা দেশের নজরও কেড়েছেন মমতা। তাঁর জয়ে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছে অ–বিজেপি দলগুলিও। সেখানে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা বলে সেই আবেগকেই চিরঞ্জিত উসকে দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।