সংসদে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালু করতে চলেছে তৃণমূল। লোকসভা ও রাজ্যসভায় শীঘ্রই এই নীতি চালু করা হবে। লোকসভার তৃণমূলের দলনেতা রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ‘খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটি’ -র চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন সুদীপ। সূত্রের খবর, দুটি পদের যে কোনও একটি ছেড়ে দিতে হতে পারে সুদীপকে। সেক্ষেত্রে দলের অপর এক প্রবীণ নেতা সৌগত রায় ওই পদ পেতে পারেন। এছাড়াও লোকসভা ও রাজ্যসভায় দলের নেতা, উপনেতা এবং মুখ্য সচেতক পদে বদল করতে পারে তৃণমূল।
আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন। তার আগেই তৃণমূল তাদের এই বদল ঘোষণা করতে পারে। উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দলের পাশে সর্বক্ষণ ছিলেন এমন নেতাদের গুরুত্ব ও স্বীকৃতি দিতে চলেছে তৃণমূল। ঘনিষ্ঠ মহলে তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন সৌগত রায়, শুখেন্দুশেখর রায়দের মতো নেতারা। দীর্ঘদিন ধরে সৌগত রায়ের মত নেতা লোকসভায় পেছনের আসনে বসেন। সামনের আসনে উঠে এসেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। গুরুত্ব বাড়তে পারে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর।
সূত্র আরও জানাচ্ছে, বিশেষত লোকসভায় নজর তৃণমূল নেত্রীর। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি পদের একটি পদ হারালেও পদোন্নতি হতে পারে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি এখন দলের মুখ্য সচেতক। সেক্ষেত্রে তাঁকে দলনেতা করা হতে পারে। মুখ্য সচেতক পদে আনা হতে পারে বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের সর্বস্তরে এক ব্যক্তি একপদ নীতি লাগু করা হবে। যদিও রাজ্য মন্ত্রিসভায় এমন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী রয়েছেন যাদের একাধারে মন্ত্রিত্ব এবং জেলা সভাপতির পদ সহ অন্যান্য পদ সামলাতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এই নেতাদের একটি পদ ছেড়ে দিতে হবে। যদিও এই বদল হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছে দলের শীর্ষ নেতারা।