চাহিদামতো ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না- এমন অভিযোগ আগেই তুলেছে নবান্ন। এবার আরও গুরুতর অভিযোগ আনলো রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে, যেখানে উত্তরপ্রদেশকে সাড়ে তিন কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র পেয়েছে তিন কোটি ডোজ, সেখানে বাংলাকে কেন মাত্র ২ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হল? এমনই দাবি করে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
তাঁর দাবি, ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণেই রাজ্যে ঠিকমতো টিকাদান কর্মসূচি চালানো যাচ্ছে না৷ পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়ার জন্য মুখ্যসচিবকেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা এ দিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে নিজেই ভ্যাকসিন নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন৷ তিনি বলেন, ভ্যাকসিন পেয়েও রাজ্য সরকার ঠিক মতো তা মানুষকে দিচ্ছে না বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন৷ রীতিমতো তথ্য, পরিসংখ্যান দিয়ে এই অভিযোগ খণ্ডন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এরপর মমতা বলেন, “কেন্দ্র বলছে আমরা নাকি ভ্যাকসিন পেয়েও দিচ্ছি না৷ আমরা এখনও পর্যন্ত ১.৯৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছি৷ তার মধ্যে ১.৯০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ আর বেশি ভ্যাকসিন নেই বলে আজ আর কাল আমরা কলকাতায় শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দিচ্ছি৷” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাকি ১৮ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ৫৯ কোটি টাকা খরচ করে নিজস্ব উদ্যোগে সরাসরি টিকা কিনতে চলেছে রাজ্য সরকার৷
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, যে পরিমাণ ভ্যাকসিন রাজ্য পেয়েছে এবং যে সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, সেই অনুপাতে গোটা দেশের মধ্যে বাংলা এক নম্বরে রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও অন্যান্য অনেক রাজ্যই বাংলার থেকে অনেক বেশি ভ্যাকসিন পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরপ্রদেশ সাড়ে ৩ কোটি ডোজ, মহারাষ্ট্র ৩.১২ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে৷ সে পাক আমার আপত্তি নেই৷ এমন কি, গুজরাত, রাজস্থানের মতো বাংলার থেকে ছোট রাজ্যগুলিও আমাদের থেকে বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছে৷ কেন আমরা এক কোটি ভ্যাকসিন কম পাব? বাংলাকে এরা বদনাম করে, বাংলাকে ভ্যাকসিন দেয় না আবার বড় বড় কথা৷”