এবারে নতুন অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই নজির গড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। পরিবার পিছু ১০০ দিনের কাজে এই মুহূর্তে শীর্ষে এই জেলা। ইতিমধ্যেই ৫৪০টি পরিবার নির্ধারিত ১০০ দিনের কাজ শেষ করে ফেলেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যান্য জেলার পরিসংখ্যান এর ধারেকাছে নেই। শুধু তাই নয়, কর্মদিবস সৃষ্টি করার নিরিখেও শীর্ষে রয়েছে এই জেলা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সব মিলিয়ে দেড় হাজারের বেশি পরিবার ১০০ দিনের কাজ শেষ করেছে বলেই জানিয়েছে সূত্র।
উল্লেখ্য, করোনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহু মানুষের জীবন জীবিকা সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, বেশি সংখ্যক মানুষকে ১০০ দিনের কাজের আওতায় আনতে হবে। সেই মতো প্রতিটি জেলা উদ্যোগ নিয়েছিল। নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই জেলাগুলি হাজার হাজার মানুষকে এই কাজে নিযুক্ত করেছে। প্রথম ত্রৈমাসিকের হিসেব বলছে, এই কাজে রাজ্যের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সব থেকে এগিয়ে। সব থেকে বেশি পরিবার ১০০ দিনের কাজ শেষ করেছে এই জেলায়। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ ৯০ দিনে কী করে ১০০ দিনের কাজ শেষ হল? আধিকারিকদের কথায়, ধরা যাক, একটি পরিবারে চারজন রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকে যদি কাজ পান, তাহলে একেক জন ২৫ দিন করে কাজ করলেই ১০০ দিনের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে। যদি কোনও পরিবারের দু’জন এই কাজ পান, তাহলে একেক জন ৫০ দিন কাজ করলে একশো দিনের কাজ পূর্ণ হবে। এভাবেই ৫৪০টি পরিবার শেষ করেছে এই কাজ।
প্রসঙ্গত, হিসেব অনুযায়ী একমাত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলায় চারশোর মতো পরিবার এই কাজ শেষ করেছে। আবার এমন একাধিক জেলা রয়েছে, যেখানে একটি পরিবারও চলতি বছরে এখনও ১০০ দিনের কাজ করে উঠতে পারেনি। পরিসংখ্যান বলছে, হুগলিতে সর্বাধিক পরিবারকে ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ সেখানে লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করেছে মাত্র ১৯টি পরিবার। এই বিভাগে পশ্চিম বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়া একশোর গণ্ডি পেরিয়েছে একমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে ডায়মন্ডহারবার ২নং নম্বর ব্লকে সব থেকে বেশি পরিবার এই কাজ শেষ করে উঠতে পেরেছে। তারপরই আছে ভাঙড় ১ নং ব্লক। এদিকে, ৪২ লক্ষ ৮৫ হাজার ২৯৩টি শ্রমদিবস সৃষ্টি করে এখনও রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। আগামীদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করছে জেলা প্রশাসনিক মহল।