আদালত কোভিড অতিমারীর সময়ে কেবলমাত্র টিউশন ফি নেওয়ার নির্দেশ দিলেও বিভিন্ন স্কুল বিরাট অঙ্কের ফি দাবি করছে। এ জন্য শিক্ষা দফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে স্কুলের বাড়তি ফি নেওয়া বন্ধ করে। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কান দেয়নি। এবার আমরা কী করব? মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পারমারকে এমনই প্রশ্ন করেছিলেন অভিভাবকরা। শিক্ষামন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে অভিভাবকদের বললেন, ‘যা খুশি করুন।’ পরে তিনি বলেন, ‘মারো যাও’। অর্থাৎ তোমরা মরে যাও। শিক্ষামন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে। বিরোধীরা একবাক্যে ইন্দর সিং পারমারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। কংগ্রেস বলেছে, পারমার যদি নিজে পদত্যাগ না করেন, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের উচিত তাঁকে সরিয়ে দেওয়া।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট বলেছে, কোভিড অতিমহামারীর সময়ে স্কুলগুলি কেবল টিউশন ফি নিতে পারবে। অভিযোগ, এর পরেও বিভিন্ন স্কুল বিরাট অঙ্কের ফি দাবি করছে। কিছুদিন আগে ৯০ থেকে ১০০ জন অভিভাবক ‘মধ্যপ্রদেশ পালক সংঘ’-এর ব্যানারে শিক্ষামন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান। তাঁরা বলেন, অত ফি দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। ফি কমানোর জন্য শিক্ষামন্ত্রী নিজে যেন হস্তক্ষেপ করেন। অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষা দফতর তাঁদের অভিযোগে কান দিচ্ছে না। এই অবস্থায় তাঁদের কী করার আছে? তখনই পারমার বলেন, ‘আপনারা মরে যান। যা খুশি তাই করুন।’ পালক মহা সংঘের সভাপতি কমল বিশ্বকর্মা বলেন, ‘অভিভাবকদের কাছে মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। তিনি যদি বাড়তি ফি কমাতে না পারেন, তাহলে পদত্যাগ করুন।’ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র নরেন্দ্র সালুজা বলেন, ‘অভিভাবকরা সমস্যায় পড়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পারমার দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করেছেন। তাঁকে অবিলম্বে মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।’