খাতায় কলমে তৃণমূল সাংসদ হলেও একুশের নির্বাচনের মুখে বিজেপির হয়েই মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল শিশির অধিকারীকে। কিন্তু তারপরেও সাংসদ পদ ছাড়েননি তিনি। তাই বারবারই স্পিকার ওম বিড়লার দ্বারস্থ হয়ে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এই আবহেই এবার শিশির অধিকারীর বিজেপি-যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। যদিও তা নিছকই ‘রসিকতা’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ত্রিপল চুরির অভিযোগ খারিজের আবেদনে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌম্যেন্দু। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানি হয় বিচারপতি চন্দের এজলাসে। শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া জানান, তাঁর মক্কেলরা দলবদল করার কারণেই তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি শুভেন্দু এবং সৌম্যেন্দু কবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তা উল্লেখ করেন। এবং তার পরই যে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন।
দলবদলের কথা উঠতেই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি চন্দ প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি জানেন এখন শিশির অধিকারীর অবস্থান কী? তিনি কি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন?’ বিচারপতির মুখে এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা ঘাবড়ে যান পাটোয়ালিয়া। তিনি কোনও উত্তরই দিতে পারেননি। এর পরেই হাসতে হাসতে বিচারপতি চন্দ বলেন, ‘মজা করেই জিজ্ঞেস করেছিলাম। এই মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।’ তার পর ফের সওয়াল শুরু করেন শুভেন্দুর আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। কিছু দিন পর দাদার পথেই পা বাড়ান ছোট ভাই সৌম্যেন্দু। আর তারপরই মার্চ মাসে প্রথম শিশিরকে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায় এগরায় অমিত শাহের সভায়। তার পর পূর্ব মেদিনীপুরের অন্য একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মঞ্চেও দেখা যায় শিশিরকে। তবে বিজেপিতে যোগ দিলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও তৃণমূলের সাংসদ। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকারের দ্বারস্থও হয়েছে তৃণমূল।