সাম্প্রতিক একটি ঘটনা। সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘অমানবিকতা’ শব্দটি বলতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেয়েছিলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তাঁকে নিয়ে রীতিমতো ট্রোল শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে অনেকেই আবার বিধায়কের পাশে দাঁড়ান। এবার মনোরঞ্জনবাবু তাঁর ট্রোলের ভিডিও নিজেই একাধিকবার শেয়ার করেন তাঁর ফেসবুকের পাতায়। শুধু তাই নয়, মজা করে তার জবাবও দিয়েছেন তিনি। কেন আটকে গেল জিভ, সেকথা একেবারে ভিডিও পোস্ট করে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। এরপর তিনি লিখেছেন, “আর মোবাইলটা হাতে ধরে রাখা যাচ্ছে না, এত গরম হয়ে গিয়েছে। আমার মুখে আটকে যাওয়া অমানবিকতা শব্দটা নিয়ে এত ট্রোল হচ্ছে যে ফেসবুক দুনিয়া আগুন। এবার বর্ডার পার হয়ে বাংলাদেশ থেকেও ট্রোল আসছে। আমি চাই এটা চলতে থাকুক। যতক্ষণ ওদের জিভও আমার মতো আটকে না যায়।”
এপ্রসঙ্গে বাসিন্দাদের মত, শুধু বিধায়ক নন মনোরঞ্জনবাবু। আরও একটা পরিচয় তাঁর রয়েছে। তিনি দলিত সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি। দীর্ঘ সংগ্রামের জীবন। কখনও পেটের দায়ে রিক্সা টেনেছেন, কখনও আবার রাঁধুনির কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বিধায়ক। কিন্তু কোথাও যেন ফেলে আসা দিনগুলোকে তিনি ভুলতে পারেননি। নিজে টোটো চালিয়েই পৌঁছে যাচ্ছেন বাসিন্দাদের দুয়ারে। দাঁড়াচ্ছেন এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে। দলিত সাহিত্য কর্মীদের টিকার ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।