তৃতীয় বারের জন্য বিপুল জনমত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কয়েক মাসের পথ চলাতেই ইতিমধ্যেই বঙ্গভঙ্গের জিগিড় তুলেছেন জন বার্লার মতো বিজেপি সাংসদ। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ বলেছেন, তৃণমূলের আমলে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ। তাই আলাদা রাজ্যের প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলা ভাগ হবে না। এরই মধ্যেই শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের জেলা হিসেবে সাত বছর পূর্ণ করার বিষয়ে টুইট করলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, ‘আজকের দিনে, ২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার বাংলার ২০ তম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। আলিপুরদুয়ারের মানুষের জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওই জেলার মানুষের উন্নয়নের জন্য বদ্ধপরিকর।’ আর কিছু না লিখলেও এই কয়েক লাইনের মাধ্যমেই মমতা বুঝিয়ে দেন, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ যতই বঞ্চনার অভিযোগ তুলুন না কেন, উন্নয়নের স্বার্থেই আলিপুরদুয়ারকে আলাদা জেলা করেছিলেন তিনি।
প্রথম বার ক্ষমতায় আসার বছর তিনেক পর, ২০১৪ সালে জলপাইগুড়ি জেলাকে দু’ভাগ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তৈরি হয় আলিপুরদুয়ার জেলা। জলপাইগুড়ি সদর আর মালবাজার মহকুমা নিয়ে হয় জলপাইগুড়ি জেলা। সাবেক আলিপুরদুয়ার মহকুমা যায় আলিপুরদুয়ার জেলায়।
আলিপুরদুয়ারের মানুষ বহু দিন থেকেই আলাদা জেলা চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জলপাইগুড়ি জেলা দু’ভাগে ভাগ করা হলে সাধারণ মানুষের লাভ হবে এবং প্রশাসন জনগণের আরও কাছে যেতে পারবে। সেই স্বার্থেই আলিপুরদুয়ারকে আলাদা জেলার মর্যাদা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রায় সাত বছর বাদে এবার আলাদা উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা। কিন্তু সেই দাবি যে অন্যায্য, তা বোঝাতেই এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা সপ্তম বর্ষপূর্তিতে টুইট করে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।