একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপিতে শুরু হয়েছে ভাঙন। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে যেমন দলত্যাগ করছেন একের পর এক নেতা, তেমনি দলে দলে তৃণমূলে ‘ঘর ওয়াপসি’ করছেন কর্মীরাও। এবার বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গেও থাবা বসাতে চলেছে শাসক দল।আলিপুরদুয়ারের জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সূত্রের খবর, এবার আলিপুরদুয়ারের আরও চার বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও, বিশাল লামা, দীপক বর্মন এবং সুমন কাঞ্জিলাল খুব শিগগির বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চলেছেন। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তারই প্রতিবাদে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের এই চার বিধায়ক এখন দলবদলের পথে।
কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাও তৃণমূলের প্রার্থী লেওস কুজরুকে ১১,০০০ ভোটে হারিয়ে তিনি জয়লাভ করেন। কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা তৃণমূলের পাসাং লামাকে সাড়ে ২৮,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন তৃণমূলের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র রায়কে ৪,০০০ ভোটে পরাজিত করেছেন। আলিপুরদুয়ার বিধানসভায় তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তীকে ১৬,০০০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জিতেছিলেন সুমন কাঞ্জিলাল। এদিকে ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মাও ‘ঘর ওয়াপসি’- র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু খারাপ সময়ে দলকে ছেড়ে যাওয়া ‘গদ্দার’ – দের দলে ফেরত নেবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মোহনকে আর দলে নেবে না তৃণমূল, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।