লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মল্লিকপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অবরোধে উত্তাল হয় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশন। বিক্ষোভ থামাতে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন-সহ অন্যান্য গণপরিবহন। যার জেরে গ্রাম এবং শহরতলির মানুষের যাতায়াত এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। যা প্রভাব ফেলেছে সাধারণ মানুষের রোজগারে। স্টাফ স্পেশ্যাল কিছু ট্রেন চললেও সেখানে উঠতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। তাই লোকাল চালুর দাবিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় সোনারপুর স্টেশনে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে সেখানকার বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।
এর পর মল্লিকপুর স্টেশনে শুরু হয় রেললাইন বিক্ষোভ। বড় অংশের জনতা রেললাইন অবরোধ করে ট্রেন চালুর দাবি জানাতে থাকেন। এর জেরে যে সব স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলছিল, সে গুলিও আটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে রেল পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। বারুইপুর থানা থেকে পুলিশের একটি দল যায় ঘটনাস্থলে। তখন উত্তেজিত জনতা তেড়ে যান পুলিশের দিকে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। খবর পেয়ে রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বুধবারের বিক্ষোভের পর স্টাফ স্পেশাল ট্রেন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। তাঁদের কথায়, ‘ঘরে বসে পেট চলছে না। তাই কর্মস্থলে যেতেই হবে। রেলের স্টাফদের জন্য একটা বা দুটো ট্রেন চালানো যাবে না। চললে সব ট্রেন চলবে। নাহলে কোনও ট্রেনই চলবে না’।