শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের তদন্তে কোচবিহারের অপসৃত পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে দীর্ঘ জেরা করেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের দাবি, বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এর পরই বুধবার তাঁর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালানোর পর ওই বুথ যে খালি হয়ে যায় তা কি তিনি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন? জবাবে দেবাশিসবাবু জানান, জানাননি তিনি। কেন তিনি কমিশনকে সেকথা জানাননি এই প্রশ্নের মুখে তিনি জানান, ঘটনার ঘনঘটায় তাঁর মনে ছিল না।
গোয়েন্দারা তাঁর কাছে জানতে চান, ঘটনার দিন কি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি? জবাবে দেবাশিস বাবু জানান, না, জাননি তিনি। গোয়েন্দারা তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাহলে কীসের ভিত্তিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি? জবাবে তিনি জানান, সিআরপিএফ-এর আধিকারিক তাঁকে যা জানিয়েছিলেন সেকথাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।