তৃণমূলের প্রতীকে একুশের ভোটের ময়দানে নেমে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন টলি পাড়ার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনী লড়াইয়ে হেরে গেলেও তাঁর ‘লড়াকু’ মনোভাবকে সামনে রেখে তৃণমূলে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সায়নীকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। এবার সেই তাঁকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনজির ভাবে আক্রমণ করা হল। একটি পোস্টে সায়নীর কমেন্টের তলায় একের পর এক অশ্লীল মন্তব্য লেখা হল। শুধু তাই নয়, সায়নীর উদ্দেশ্যে কটূক্তিও করেছেন কেউ কেউ।
এদিন Bhattacharya Dev Fam নামের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্টেটাস দেওয়া হয়। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘আমি প্রতীজ্ঞা করছি, যেখানে বোন রয়েছে, সেখানে বাংলাকে ভাগ করতে দেব না’। এই লেখার শেষে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে ট্যাগ করা হয়। হ্যাশট্যাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লেখা হয়। এই পোস্টে সায়নী কমেন্টে লেখেন, ‘এদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বাপ দেখেনি ছাগল, ছেলে মুরগি দেখেই পাগল কেস’। সায়নীর এই মন্তব্যের পরই বেশ কয়েকজন সেখানে অশালীন মন্তব্য করেন। যদিও তাঁদের মন্তব্যের পাল্টা কিছু বলেননি সায়নী।
উল্লেখ্য, এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে সায়নীকে। কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের রোষের মুখে পড়েছিলেন সায়নী। টুইটারে সায়নীকে টার্গেট করে তথা গত লিখেছিলেন, শিবলিঙ্গে কনডম পরিয়ে (কবে পরিয়েছিলেন সেটা অবান্তর) আমার মতন তাবৎ হিন্দুকে, বিশেষত শিবভক্তদের, চরম অপমান করেছেন সায়নী ঘোষ।তাকে উত্তরোত্তর সম্মান দিয়ে হিন্দুদের কি বলতে চাইছেন মমতা ? আমি ভোটে জিতেছি, এবার যা খুশি করব। তোরা অসহায় হিন্দুরা কি করতে পারিস’? তথাগতর এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।