নেতাজী ইন্ডোরে দলের কোর কমিটির বৈঠকে থেকেই জোরকদমে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক থেকে একাধিক ইস্যুতে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ব্রিগেড সফল করতে বেশ কয়েকটি কমিটিও তৈরি করে দেন নেত্রী। বলেন, ‘ব্রিগেড সমাবেশই হবে ২০১৯ লোকসভা ভোটের টার্নিং পয়েন্ট।’
সমাবেশ সফল করতে বিধায়ক এবং জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আজ শুক্রবার থেকেই প্রতি ব্লকে সভা করার নির্দেশ দেন মমতা। পাশাপাশি প্রতি বুথে ৩০টা করে দেওয়াল লিখনের বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে দায়িত্ব বর্তেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। মমতার কথায়, ‘দেওয়াল লিখনের দায়িত্ব ছাত্র-যুবদের বেশী করে নিতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেওয়াল লিখনের দায়িত্ব নিক।’ যেহেতু প্রচুর জাতীয় দলের প্রতিনিধিরা সমাবেশে আসবেন তাই ব্রিগেডের জন্য একটাই পোস্টার দল করবে বলে জানিয়েছেন মমতা। ফেস্টুন, পোস্টার, প্রচার, পুস্তিকা প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। তাঁদের সাহায্য করবেন সৌগত রায়, মণীশ গুপ্ত ও মানস ভুঁইয়া।
ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হতে ছত্তিসগড়, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, বিহার, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুনাচল প্রদেশ, ওড়িশা প্রভৃতি জায়গা থেকে কয়েক লক্ষ লোক আসবেন। তাঁদের থাকা এবং দেখাশোনার জন্য মমতা তৈরি করেছেন অ্যাকোমোডেশন কমিটি। সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অর্জুন সিংকে রাখা হয়েছে কমিটিতে।
যেসব নেতা-নেত্রীরা ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে বাংলায় আসছেন তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে তৈরি হয়েছে রিসেপশন কমিটি। এই কমিটিতে আছেন রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন, দীনেশ ত্রিবেদী, সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শশী পাঁজা, মহুয়া মৈত্র, প্রতিমা মণ্ডল, মমতা বালা ঠাকুর, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অপরুপা পোদ্দার ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। মমতা বলেন, ‘কে কোন নেতাকে আনতে যাবেন, পুরো তালিকা তৈরী করে আমায় জানাবেন।’
বিভিন্ন রাজ্যের নেতা-নেত্রী এবং সাধারণ মানুষকে ব্রিগেডে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ট্রান্সপোর্টেশন কমিটি তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমাবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রাত্য বসু এবং অর্পিতা ঘোষকে। জনসমাবেশে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে তৎক্ষণাৎ তাঁর চিকিৎসা হয় সেজন্য শান্তনু সেন, নির্মল মাঝিদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।