ফের এগিয়ে বাংলা। আরও এক বড় সাফল্য রাজ্যের।
স্কিল ডেভলপমেন্টে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা দেশের ১০টির মধ্যে ৬টি স্থান দখল করেছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় স্তরে দু’টি ক্ষেত্রে রাজ্যের দুই জন প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সোমবার নবান্নে এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, কর্মদক্ষতা বাড়াতে তৈরি করা হয়েছে কমিটি। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেটি তৈরি হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। কর্মদক্ষতা বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করতে কী করা যায়, তার রিপোর্ট দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে মোট ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, পুজোর মধ্যে ২৪,৫০০ জনের চাকরি পাবেন এবং পুজোর পরে সাড়ে সাত হাজার শিক্ষকের চাকরি। তাঁর কথায়, ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষককে পুজোর মধ্যে নেওয়া হবে। এই বছরই নেওয়া হবে। ১০ হাজার ৫০০ প্রাইমারি পুজোর আগে নেওয়া হবে। দু’টো বললাম কিন্তু। পুজোর পর মার্চের মধ্যে আরও সাড়ে সাত হাজার প্রাইমারি শিক্ষক নেওয়া হবে। মমতা বলেন, তাঁদের মেধাই তাঁদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। কারও কাছে লবি করার কোনও দরকার নেই। কোর্ট কেস ছিল বলে এটা আটকে ছিল। আজ ঘোষণা করা হল।স্কুলগুলোতে তাঁরা কাজ করবেন। এতে সুবিধা হবে।
এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগ, কিছু কিছু জায়গায় ডিভিসি জল ছেড়েছে। ২৬ তারিখের বানটা একটু বড় হবে। আমাদের এখানে অনেক ডেডবডি উত্তরপ্রদেশ থেকে ভেসে এসেছে। জল দূষিত হয়েছে। মালদায় পর পর ডেড বডি দেখা গিয়েছে। কিছু মরদেহের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমানে সংক্রমণের হার ৪ শতাংশ। ভোটের সময় সেটা ৩২ শতাংশ গিয়েছিল। কলকাতা অনেকটা কমেছে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার রাজ্যে শিশুদের জন্য বেড বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।