নরেন্দ্র মোদী জামানায় এমন ল্যাজেগোবরে দশা বিজেপির আগে হয়নি। পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনমত সমীক্ষায় তারা বহু পিছিয়ে। তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিজেপির ‘অচ্ছে দিন’ দূর–অস্ত্। হিন্দী বলয়ের এই ৪ রাজ্য থেকে বিজেপির সাফ হয়ে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ‘সি ভোটার’–এর সমীক্ষায় তেমন সম্ভাবনাই প্রবল।
সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজস্থানে ভালোভাবে জিতবে কংগ্রেস। তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশে জিতবে স্বল্প ব্যবধানে। ছত্তিশগড়ে বিজেপি–র সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় পেতে পারে কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে মিজোরামেও। উত্তর–পূর্ব অঞ্চলে একটি রাজ্যই কংগ্রেসের দখলে। সমীক্ষা বলছে, এবার সেটি হারাতে পারে তারা। এবং সে–ক্ষেত্রে মিজোরামই বিজেপি–র একমাত্র সান্ত্বনা। মাস কয়েক আগেও ছবিটা উল্টো ছিল। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জুটি কার্যত অপরাজেয় হয়ে উঠেছিলেন। বছরের শেষে নাকি তাঁদেরই একেবারে ৪–০–তে হারতে হবে, বলছে ‘সি ভোটার’।
সমীক্ষা অনুযায়ী রাজস্থানে ‘অ্যাডভান্টেজ কংগ্রেস’। রাজস্থান কংগ্রেসের মধ্যে ঐক্য আছে। এটাই তাদের পক্ষে সদর্থক দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওদিকে, বিজেপি–র সরকার এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা প্রায় তলানিতে। তার ওপর টিকিট বণ্টন নিয়ে দলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় বিজেপি শিবিরে বেড়েছে অস্বস্তি।
তিন দফার মেয়াদ শেষে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি–র বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান–বিরোধী হাওয়া এখন জোরালো। সমীক্ষা মতে, এই প্রতিষ্ঠান–বিরোধী হাওয়ার সওয়ার হয়েই শেষমেশ বিজেপি–কে হারিয়ে দেবে কংগ্রেস। আগস্টেই ছত্তিশগড়ে সমীক্ষা করে ‘সি ভোটার’ দেখেছিল, কংগ্রেস–বিজেপি’র ভোটের ব্যবধান ০.২ শতাংশ। নভেম্বর সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ১২ শতাংশ।