একুশের নির্বাচনে হাই ভোল্টেজ নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর ভোটযুদ্ধে মাত্র ১৯০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন শুভেন্দু। সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবং নন্দীগ্রামের ভোটের পুনর্গণনার দাবি তুলে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আরও ৪টি কেন্দ্রে গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল রাজ্যের শাসকদল। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা হাই কোর্টে যাওয়ার পর, শুক্রবার সকালে বলরামপুর, বনগাঁ দক্ষিণ, গোঘাট এবং ময়না— এই ৪ কেন্দ্রে গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই ৪ আসনেই খুব কম ভোটে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে জিতেছে বিজেপি।
পুরুলিয়ার বলরামপুরে এ বারের ভোটে শান্তিরাম মাহাতোকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। বিজেপির বাণেশ্বর মাহাতোর কাছে মাত্র ৪২৩ ভোটে হেরেছেন তিনি। এত কম ব্যবধানে হারের পিছনে কারচুপিকে দায়ী করে আদালতে অভিযোগ করেছেন শান্তিরাম। নতুন করে গণনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মামলাটি গৃহীত হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই ওই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তার মধ্যে এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্ত। এর পাশাপাশি, বনগাঁ দক্ষিণ, গোঘাট এবং ময়নায় ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে মামলা দায়ের করেছে তৃণমূল।
বনগাঁ দক্ষিণে বিজেপির স্বপন মজুমদারের কাছে ২ হাজার ৪ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। গোঘাটে বিজেপির বিশ্বনাথ কারকের কাছে ৪ হাজার ১৪৭ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদার। ময়নায় বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক ডিন্ডা তৃণমূলের সংগ্রামকুমার দলুইকে ১ হাজার ২৬০ ভোটে পরাজিত করেন তিনি। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে যাওয়ার পর থেকেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যেই ফের গণনার কারচুপি নিয়ে একগুচ্ছ মামলা দায়ের করল তৃণমূল।