তৃতীয় বারের জন্য বাংলা জয় সারা, এবার ‘সর্বভারতীয়’ দল হতে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। কারণ ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদীকে সরানো। আর সেই সূত্রেই বাংলা ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে নজর দিচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই জোরকদমে ত্রিপুরায় ফের সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। আর সেই কাজে মুকুল রায়ই হতে চলেছেন তৃণমূলের তুরুপের তাস। কিন্তু শুধু বাংলা আর ত্রিপুরা দিয়ে যে ২০২৪-এর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তা বিলক্ষণ জানেন মমতা। তাই আসাম, সিকিমের মতো একাধিক রাজ্যও নিশানায় রয়েছে এ রাজ্যের শাসক দলের। তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে ‘টিএমসি ফর আসাম’, টিএমসি ফর সিকিম’, টিএমসি ফর মণিপুর’, টিএমসি ফর ত্রিপুরা’ টিএমসি ফর মহারাষ্ট্র’ টিএমসি ফর উড়িষয়া’র মতো একাধিক রাজ্যের জন্য আলাদা আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলি থেকে এ রাজ্যে তৃণমূলের জনকল্যাণমূলক কাজকর্মগুলির প্রচার করা হবে।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসে ভিনরাজ্যে সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এই তৃণমূল আলাদা। আমরা এখন ভিনরাজ্য দু-তিনটি আসন পেতে বা ভোট শেয়ার বাড়াতে যাব না। যেখানে আমাদের জেতার সম্ভাবনা থাকবে সেখানে সংগঠন বিস্তারে জোর দেব আমরা।’ তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার যে বাইরের রাজ্যে ক্ষমতা দখলকে পাখির চোখ করছে তৃণমূল, সে বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী অভিষেক। সেক্ষেত্রে গোটা দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তি কি এবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একজোট হবে? অভিষেক জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের কথা দেশের প্রতিটি কোণায় আমরা পৌঁছে দেব।’
আর সেই কাজটি করতেই সোশ্যাল মিডিয়াই যে হতে চলেছে শাসক দলের তুরুপের তাস, তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রতিটি স্তরে সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে ঢেলে সাজাচ্ছে শাসক দল। সেইসঙ্গে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের ‘আইপ্যাক’-এর লাগাতার সহায়তা। ফলে ফেসবুক, ট্যুইটারকে হাতিয়ার করেই যে ২০২৪-এর দিকে এগোতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশই।