সার্বিকভাবে যে কোনও টিকাকরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনা নথিবদ্ধ করে দ্রুত তার মোকাবিলায় দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করল বাংলা। খোদ কেন্দ্রীয় সরকার একথা জানাল রাজ্যকে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই ফলাফলের কথা জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের শীর্ষকর্ত্রী বন্দনা গুরনানি চিঠি লিখে রাজ্যকে জানিয়েছে। নম্বরের নিরিখে রাজ্যের ফলাফল ‘অসাধারণ’, এমনই বলেছেন তিনি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, বড়-ছোট রাজ্য মিলিয়ে আমাদের আগে শুধু চণ্ডীগড়। ওরা পেয়েছে ৮৯ শতাংশ নম্বর। আর বড় রাজ্যগুলির মধ্যে ৮৫ শতাংশ পেয়ে আমরা প্রথম।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমার হার অব্যাহত ছিল বুধবারও। বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৮৭ জন নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৬৯ জন। কলকাতায় মারা গিয়েছেন ১৩ জন। পজিটিভিটি আরও কমে হয়েছে ৫.১৪ শতাংশ। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এদিকে, করোনার পাশাপাশি নন করোনা চিকিৎসায় জোর বাড়ছে। এক নির্দেশনামা জারি করে হোমিওপ্যাথির নীতি নির্ধারক সংস্থা সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি জানিয়েছে, দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে সি সি টিভি ক্যামেরা থাকা অপরিহার্য। কলেজ কেমন পঠনপাঠন চলছে, তার দিকে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখার জন্য এই ব্যবস্থা করতেই হবে। প্রসঙ্গত, সারা দেশে ২৫৮টি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ আছে। তার মধ্যে ৪০টিই হল সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ।