একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। বারবারই বাইরে এসে পড়ছে দলের অন্তর্কলহ। এমনকী বক্তৃতায় সুযোগ পেলেই কেন্দ্রীয় নেতাদের তেড়ে আক্রমণ করছেন বিজেপির জেলা নেতারা।
গত সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। ভার্চুয়াল বৈঠকে জেলা নেতাদের সকলকেই একে একে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। নেতাদের বক্তব্যে ঘুরে ফিরে আসে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন এবং কিশোর বর্মণের নাম। ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে বিজেপির সংগঠন ছন্নছাড়া, কর্মীদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। এই সময়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা নেই কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন জেলা নেতারা। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে জেলার বিধায়কদের কেউ কেউ দল ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সরাসরি আক্রমণ করেছেন তাঁরা।
সোমবার রাত আটটার পরে ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়। রাজগঞ্জের এক নেতা বলেন, ‘কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা কোথায়? ভোটের আগে বড়বড় কথা বলে গেলেন, এখন কাউকে দেখছি না কেন?’ ভার্চুয়াল সভায় বক্তাদের বেশিরভাগই দাবি করেন, নিচুতলার কর্মীদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। দলের নেতৃত্ব পাশে না দাঁড়ানোয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল বৈঠকে মালবাজারের এক নেতা বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে আবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেন হঠাৎ করে মাথার ওপরে চেপে বসে উল্টোপাল্টা সিদ্ধান্ত না নেন।’
বৈঠকে জলপাইগুড়ি সদরের এক নেতা বলেন, ‘ভোটের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, কিশোর বর্মণরা বলেছিলেন, তাঁরাই নাকি ভোটে জিতিয়ে দেবেন। এখন তো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এ ভাবে কিন্তু দল চলবে না।’ জলপাইগুড়ি সদর আসনে বিজেপি হেরেছে। রাজগঞ্জ এবং মালবাজারও হেরেছে বিজেপি। সেই এলাকার নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপরে ক্ষোভ বেশি করে উগড়ে দিয়েছেন বলে খবর।