আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে কর্মীসংখ্যা কমাবে কোল ইন্ডিয়া । খরচ কমাতেই কর্মীসংখ্যা কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থাটি। এর পাশাপাশি যে খনিগুলি থেকে কয়লা তুলে লাভ পাওয়া যাবে না, সেগুলি বন্ধ করে দেবে কোল ইন্ডিয়া।
করোনাভাইরাস অতিমারীর কারণে ইস্পাত এবং বিদ্যুৎ, দুই ক্ষেত্রেই কয়লার চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সংস্থাটির মুনাফার পরিমাণ তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ২৩.৯৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। সোমবারই তাদের বার্ষিক ফল ঘোষণা করেছে কোল ইন্ডিয়া। আর তারপরেই মঙ্গলবার সংস্থার তরফে কর্মীসংখ্যা কমানো এবং খনি বন্ধের কথা জানানো হয়েছে।
কয়লার চাহিদা ক্রমাগত কমতে থাকায় সংস্থাটির মুনাফা এতটা কমে গিয়েছে বলে বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা। গত অর্থবর্ষে সংস্থাটির আয় তার আগের বছরের তুলনায় ৮.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কোল ইন্ডিয়ার মোট ৯৩,৮১৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে। পরিচালন ব্যবস্থা থেকে আয়ও ৬.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে সংস্থাটির।
গত অর্থবর্ষে মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির কয়লার চাহিদা কমে গিয়েছে। করোনাভাইরাস অতিমারীর মোকাবিলায় কেন্দ্র লকডাউন ঘোষণা করায় গত বছরের গরমে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ২৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। লকডাউনের কারণে কলকারখানাগুলিতে উৎপাদন এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে মন্দার আবহ তৈরি হওয়াই এর কারণ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ধাক্কায় কয়লার চাহিদা আরও কমে গিয়েছে।