বিজেপি বিরোধিতায় টার্গেট যুব শক্তি। হাতিয়ার তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া। ২০২৪ নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সৈনিক বাড়াতে চায় তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন নয়া তৃণমূল যুব সভাপতি। মানুষের সমস্যা তুলে ধরাই হবে এই ভার্চুয়াল মাধ্যমের মূল লক্ষ্য। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও এই ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ এসেছে। এবার সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চান সায়নী।
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সভা, মিছিল করা সম্ভব নয়। যদিও রাজ্যের শাসক দল চাইছে, বিজেপি বিরোধিতায় মানুষের নিত্যদিনের ইস্যুকে সামনে তুলে আনতে। সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই লাগাতার চলবে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ। যেহেতু সভা-মিছিল করে মানুষের কাছে করোনা আবহে পৌঁছনো সম্ভব নয়, তাই আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া ইউনিট। যারা কেন্দ্রের বিভিন্ন ইস্যুতে গঠনমূলক সমালোচনা করবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে সমস্যা সমাধানের পন্থা দেখাবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমের সুবিধা হচ্ছে, এখন প্রত্যেকের হাতে হাতেই রয়েছে স্মার্ট ফোন। ফেসবুক, ট্যুইটার ব্যবহারে মানুষের আগ্রহ অনেক বাড়ছে। ফলে এই আবহে মানুষের কাছে চটজলদি পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে।
আবার সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্যে দ্রুত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের অবস্থান জানানো যায়। তাই যুবদের সংগঠনকেই উৎসাহিত করা হচ্ছে এই বিষয়ে প্রচারে নামতে। অন্যদিকে আইপ্যাকের মতো প্রশিক্ষিত সংস্থা চলে এসেছে ফের তৃণমূলের সঙ্গে। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে রাজনীতির পাঠ নিয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সংগঠন পোক্ত হাতে ধরার উপদেশ। নিজেও যুব সংগঠন থেকেই রাজনীতিতে অভিযান শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ক্ষেত্র থেকেই সায়নীকে উপদেশ দিলেন সংগঠনের সকলকে নিয়ে এক সঙ্গে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলার। চলচ্চিত্র জগৎ হোক বা প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর এর মতোন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রজন্মের যে ছেলে মেয়েরা রাজনীতির ক্ষেত্রে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার উপদেশ মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে।