গত বছর কোভিডের কারণে ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় কালীঘাটের বাড়ি থেকেই একুশের বক্তৃতা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা বৈদ্যুতিন ও সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রচার হয়েছিল। জেলায় জেলায় পার্টি অফিসে তা বড় স্ক্রিনে দেখানো হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় এবারও সেই পথেই হাঁটতে পারেন তৃণমূল নেত্রী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের এক্ষুণি বিজয় উৎসব করতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এখন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তা মোকাবিলাতেই নজর দেওয়া হোক। পরে ব্রিগেডে বড় করে বিজয় উৎসব হবে। তবে বিজয় উৎসব পরের কথা, বিশ সাল তথা গত বছরের পর এ বারও ২১ জুলাই ধর্মতলায় দলের শহীদ সমাবেশ অনিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সোমবার স্বাস্থ্য ভবন যে নির্দেশ জারি করেছে, তার পর ধরে নেওয়া যেতে পারে এ বারও একুশের বক্তৃতা হবে ভার্চুয়াল ব্যবস্থায়।
উল্লেখ্য, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় সোমবার স্বাস্থ্য দফতর জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের উদ্দেশ্যে নতুন নির্দেশ জারি করেছে। নবান্নের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউ এলে তা আছড়ে পড়তে পারে অগস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের গোড়ায়। তাই জুলাই মাসের মধ্যে কলকাতা সহ জেলার সরকারি হাসপাতালগুলিতে শিশু ও মায়েদের জন্য ১০ হাজার জেনারেল বেড এবং প্রায় ২ হাজার পেডিয়াট্রিক আইসিইউ এবং স্পেশাল নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট তথা এসএনসিইউ বেডের ব্যবস্থা করতে বলেছে। তৃণমূলের ওই শীর্ষ নেতার কথায়, এই পরিস্থিতিতে নেত্রী ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা করার ঝুঁকি নেবেন বলে মনে হচ্ছে না।