দরজা খোলা। আসতে চাইছেন অনেকেই। তবে চৌকাঠ পেরোনোর অনুমতি মিলতে পারে সিকি ভাগেরই। অনেকে আবার বলছেন, ছাঁকনির ব্যবস্থা করা আছে। সেটা দিয়ে পেরিয়েই মিলবে ঘরে, থুড়ি দলে ঢোকার অনুমতি। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই জোরালো হচ্ছিল একাধিক সম্ভাবনা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের একটা বড় অংশই চাইছেন ফের তাদের পুরনো দল ঘাস ফুলে ফেরত আসতে। তাদের ফেরানো আদৌ যুক্তিযুক্ত হবে কিনা, তা নিয়েই চলছে কাঁটাছেড়া। তবে দলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, দলবদলু নেতাদের নিয়ে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করবে দল। সব দিক ভেবে, তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সবটাই নির্ভর করছে খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপরেই।
ইতিমধ্যেই পদ্ম শিবির ছেড়ে, জোড়াফুল শিবিরে চলে এসেছেন সপুত্র মুকুল রায়। তার পরেই বেড়েছে জল্পনা। কোন কোন নেতা, কবে আসতে পারেন জোড়া ফুল শিবিরে? তবে ঘাস ফুল শিবির জানাচ্ছে, যারা ভোটের আগে দল ছেড়ে চলে গেল, কঠিন সময়ে পাশে থাকল না, তাদের দলে ফেরানো মানে, পুরনো কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা দেওয়া। তাই রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে আপাতত ধীরে চলো নীতিই গ্রহণ করবে তৃণমুল কংগ্রেস। মুকুল রায় দলে ফেরার পরেই একাধিক নেতা যারা জোড়া ফুল শিবির ছেড়ে, পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তারা ফেরত আসতে চাইছেন। আর মুকুলের প্রত্যাবর্তনের পরের দিনেই রাজীবের কুণাল সাক্ষাৎ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। তবে রাজীব চাইলেও, দল তাকে নিতে আগ্রহ দেখাবে কিনা সেটাই এখন বড়সড় প্রশ্ন। সূত্রের খবর, রাজীব নিয়ে ধীরে চলো নীতিই গ্রহণ করবে দল। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ স্তর থেকে। রাজীব নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় ও কল্যাণ ঘোষ। আপত্তি পোষণ করেছেন অরুপ রায়ও। প্রায় প্রতিদিন রাজীব বিরোধী পোস্টার পড়েছে ডোমজুড় এলাকায়৷
অন্যদিকে, মুকুল ঘনিষ্ঠ সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে আপত্তি জানিয়েছেন সুজিত বসু। দেবাশিষ জানার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে সল্টলেকের একাধিক জায়গায়। ফলে বিভিন্ন মহল থেকে নানা ভাবেই দলে ফেরানো নিয়ে আপত্তির কথা উঠে আসছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, যারা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন, তাদের একটা বড় অংশ ভোটে জিততে পারেননি। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ফলে নতুন কাউকে দলের এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে, মুকুল রায় একটা সময় দক্ষ হাতে দলের সাংগঠনিক কাজ সামলেছেন। বিজেপিতে সর্বভারতীয় পদে ছিলেন। তাঁকে দলে নেওয়া মানে বিজেপিকে বুঝিয়ে দেওয়া তাদের সংগঠনে ফাটল ধরাতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে কারও সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবনা এখনও পোষণ করেনি শীর্ষ নেতৃত্ব।