বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পর একদিকে যখন গেরুয়া শিবিরের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা, বারবারই সামনে এসে পড়ছে নেতৃত্বের মধ্যে কলহ। তখন অন্যদিকে ভাঙন অব্যাহত দলে। গতকালই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছে পদ্মশিবির। দলত্যাগ করে সপুত্র তৃণমূলে ফিরেছেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। আর তারপর থেকে বিভিন্ন জেলায় তাঁর অনুগামীরাও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। এদিন যেমন বীরভূমের সাঁইথিয়া বিধানসভার অন্তর্গত বনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৭টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে যোগ দিল তৃণমূলে।
শনিবার অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বিজেপি ছেড়ে আগত কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার কান্তি মণ্ডল। পাশাপাশি তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানোর আগে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। যেখানে বলা হয়, ‘বিজেপি করে ভুল করেছি। এবার থেকে তৃণমূল করব, তৃণমূলেই থাকব।’ বিজেপি থাকার সময় কোন পদে ছিলেন, নাম-ধাম বলার পর এই দলত্যাগীদের হাতে কাগজ নিয়ে পড়তে শোনা যায় যে, ‘ভুল করে বিজেপিতে গিয়েছিলাম। এখন উন্নয়ন কর্মে শামিল হতে আজ থেকে তুষার কান্তি মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলাম।’
প্রসঙ্গত, মুকুল রায় শুক্রবার তৃণমূলে ফেরার পর এবার বিভিন্ন জেলায় তাঁর অনুগামীরা বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন। যেসব জেলাগুলিতে মুকুল রায়ের দলবদলে বড় প্রভাব পড়তে চলেছে, তার মধ্যে রয়েছে বীরভূম। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের পরে দিল্লীতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লাভপুরের তৎকালীন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসিফ ইকবাল এবং গদাধর হাজরা। এই তালিকায় পরে যুক্ত হন বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা। এবার তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।