প্রশাসকের সমালোচনা করায় পরিচালক আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করায় ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীরাই। প্রতিবাদ স্বরূপ শনিবার লক্ষদ্বীপের ১৫ জন বিজেপি নেতা ও দলীয় কর্মী তাঁদের ইস্তফা জমা দিল লক্ষদ্বীপের বিজেপির প্রধান সংগঠক সি আব্দুল কাদের হাজি-র কাছে।
লক্ষদ্বীপের প্রশাসকের ভূমিকায় প্রফুল্ল খোঁড়া পটেল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি একটি মালয়লম সংবাদমাধ্যমে বিতর্ক সভায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেন লক্ষদ্বীপের প্রথম মহিলা পরিচালক আয়েশা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণের শুরুর দিকে লক্ষদ্বীপে একজনও করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। এখন রোজদিনই ১০০ জন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। কেন্দ্রের তরফে করোনাকে জৈব অস্ত্র হিসাবে পাঠানো হয়েছে’।
আয়েশার এই মন্তব্যের পরই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। লক্ষদ্বীপের বিজেপি প্রধান সংগঠক সি আব্দুল কাদের হাজি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মন্তব্য করার অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতেই বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়ানো ও দেশদ্রোহের মামলা করা হয় আয়েশার বিরুদ্ধে। তবে দলের এই সিদ্ধান্ত খুশি নন অধিকাংশ কর্মীই।
এ দিন ১২ জন বিজেপি কর্মী দলের সংগঠক সি আব্দুল কাদের হাজি-র কাছে ইস্তফা পত্রের সঙ্গে একটি চিঠি জমা দেন। সেই চিঠিতে লেখা, ‘প্রশাসক প্রফুল্ল পটেলের কার্যকলাপ কতটা জনগণ বিরোধী ও অগণতান্ত্রিক, তা লক্ষদ্বীপের বিজেপি কর্মীরা ভাল করে জানেন। ইতিমধ্যেই কর্মীরা প্রশাসন ও জেলা শাসকদের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছেন’।
আয়েশাকে সমর্থন জানিয়ে তাঁরা বলেন, ‘আয়েশা মিডিয়ার কাছে কেবল নিজের মতামত রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে প্রথমে লক্ষদ্বীপে করোনা সংক্রমণ না থাকলেও নতুন প্রশাসক আসার পরই কীভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে এবং প্রশাসকের অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তে কীভাবে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। আপনার অভিযোগের ভিত্তিতেই ওনার (আয়েশা) বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা দায়ের করা হয়েছে। এইধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাদের বোন ও তাঁর পরিবারের মামসম্মান ও ভবিষ্যৎ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই আমরা বিজেপির সদস্যপদ ফিরিয়ে দিচ্ছি’।