প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থক। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই ঘরছাড়া তাঁরা। দলের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে দেবশালা পঞ্চায়েত এলাকার ভাতকুণ্ডা গ্রামের ধারে জঙ্গলের জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন প্রায় তিরিশটি পরিবার। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিজেপির বর্ধমান সদর জেলা সম্পাদক শ্যামল রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি দল ত্রাণ নিয়ে সেখানে গেলে তাঁদের ফিরিয়ে দিলেন ক্ষুব্ধ কর্মীরা।
আউশগ্রামের ভাল্কি পঞ্চায়েত এলাকার প্রেমগঞ্জের ওই পরিবারগুলির দাবি, ভোটের ফল বেরনোর পরে তিন দিন ধরে জঙ্গলে রাত কাটাতে হয়েছে তাঁদের। পরে, গ্রাম থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে তাঁবু খাটিয়ে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। দলে আট মহিলা ও ছ’জন শিশুও রয়েছে। কনি বাগদি, কালী বাগদি, শিখা বাগদিদের দাবি, ‘সাপের উৎপাত আছে। তার উপরে এখন নিত্য ঝড়বৃষ্টি, বজ্রপাতে ভয়ে কাঁটা হয়ে আছি। দুধের শিশুদের নিয়ে তাঁবুর মধ্যে গাদাগাদি করে মাথা গুঁজে আছি।’
বিজেপি কর্মী সুভাষ বাগদি, ধর্মদাস বাগদি, দুলাল বাগদিদের অভিযোগ, ‘প্রথম দিকে, দলের জেলা কার্যালয়ে গিয়ে নেতাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা কোনও ভাবে পাশে দাঁড়াননি। বাঁচলাম কি মরলাম এত দিন খোঁজ না নিয়ে এত দিনে ত্রাণ দিতে এসেছেন! তাই ত্রাণ নেওয়া হয়নি।’ যদিও শ্যামলবাবুর সাফাই, ‘প্রথম দিকে, ওঁদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের ঠিক ভাবে যোগাযোগ হয়নি। তাই ওঁদের কাছে পৌঁছতে পারিনি। তবে দলের দেওয়া ত্রিপল এবং পোশাক ব্যবহার করছেন ওঁরা। ঘরছাড়াদের একটা তালিকা আমরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দিয়েছি।’