একজন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ অনুগামী। অপরজন, ইদানিং মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কথা হচ্ছে বিধাননগর পুরনিয়মের প্রাক্তন মেয়র তথা বিধাননগর কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শিবিরের আশঙ্কা, মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরলে এরা দুজনও তাঁর পিছু নিতে পারেন।
সম্প্রতি এই দুই নেতাকেই প্রকাশ্যে দলীয় নীতির সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে। সব্যসাচী দত্ত প্রকাশ্যেই বিধানসভা ভোটে দলের নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, মমতার বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর মতো মুখ বিজেপির ছিল না। হিন্দিভাষী নেতাদের দিয়ে বাংলা দখল সম্ভব নয়। আবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ্যেই সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। দলের নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, বারবার রাষ্ট্রপতি শাসন বা ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে মানুষ ভালভাবে নেবে না। নিজেদের বক্তব্যের জন্য এই দুই নেতার সঙ্গেই কথা বলেছে দল। এখনও সরকারিভাবে শো-কজ না করা হলেও, তাঁদের কাছে এই ধরনের বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়েছেন বিজেপির শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার।
আসলে গেরুয়া শিবিরের একাংশের আশঙ্কা, মুকুল তৃণমূলে ফিরলে অনেকেই তাঁর পিছু নেবেন। সেই তালিকায় প্রথম নাম হতে পারে সব্যসাচী এবং রাজীবের। কারণ, সব্যসাচী দত্ত শুরু থেকেই মুকুলকে ‘দাদা’ হিসেবে দেখেন। তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার কারিগরও মুকুল রায়ই। তৃণমূলে থাকাকালীনও সব্যসাচী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মুকুলের সঙ্গে। এমনকী, বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে লুচি-আলুর দম পর্বও বেশ আলোড়ন ফেলেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। অন্যদিকে, রাজীব ভোটের পর থেকেই কার্যত বেপাত্তা। দলের কোনও মিটিং-মিছিলে দেখা যায় না। দিলীপ ঘোষেরাই নাকি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। যদিও সুভাষ সরকারের দাবি, তিনি সব্যসাচী এবং রাজীব দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছেন।