অপরিকল্পিত অনিয়ন্ত্রিত টিকাকরণ হলে করোনা কমার বদলে নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেইন আরও বিপদ বাড়াতে পারে, প্রধানমন্ত্রীকে এই মর্মে চিঠি দিল এইমস-এর চিকিৎসক এবং ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের একাংশ। এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের স্পষ্ট মত, করোনা থেকে উঠেছেন, এ বিষয়ে স্পষ্ট নথিও আছে, এমন ব্যক্তিকে এক্ষুনি হুড়োহুড়ি করে টিকা দেওয়ার দরকার নেই।
উল্লেখ্য ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব এপিডেমোলজিস্ট-এর বিশেষজ্ঞরা তাঁদের সর্বশেষ রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, গণ টিকাকরণের পরিবর্তে যাদের ঝুঁকি রয়েছে তাদের টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। না হলে হিতে বিপরীত হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন, এক সাথে টিকাকরণের সমস্ত দরজা খুলে দিলে আসলে টিকা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ খুব শিগগিরই অপর্যাপ্ত হয়ে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের ভাবতে হবে কোভিড ডেটা ও হাতে যেটুকু রসদ আছে তাকে হাতিয়ার করে টিকাকরণ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা। সকলকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। রিপোর্টে স্পষ্টই বলা হচ্ছে গণ টিকাকরণ, হুড়োহুড়ি করে অসম্পূর্ণ টিকাকরণ মিউট্যান্ট স্ট্রেইনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা চাইছেন এক ধরনের ক্লাসিফিকেশন। তাঁরা বলছেন কোনও এলাকায় যদি একটি বিশেষ মিউট্যান্টের প্রভাব বেশি থাকে তবে সেই এলাকাতে আগে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। যে অঞ্চলে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রভাব বিস্তার করছে সে অঞ্চলে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মোদীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে করোনার বিরুদ্ধে সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র ভ্যাকসিন নির্বিচারে এই অস্ত্র ব্যবহার করা ঠিক হবে না বরং সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে সবথেকে কম খরচে পরিকল্পনা সেরে ফেলতে প্রয়োজন স্ট্র্যাটেজি। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের সমস্ত ১৮ ঊর্ধ্বকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নীতিগতভাবে সুন্দর হলেও তা বাস্তবিক নয়। মনে রাখতে হবে ভ্যাকসিনও অপর্যাপ্ত নয়। বরং যথেষ্ট টানাটানি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু হার কমাতে এখনও জোর দিতে হবে প্রবীণের টিকাকরণে। আগে সেরে ফেলতে জবে ওবেসিটি, কোমরবিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের টিকাকরণ।