করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ব্যস্ত পুরো দেশ। গ্রাফ এই মুহূর্তে নিম্নমুখী হলেও এখনও কাটেনি বিপদ। দেশের টিকার ঘাটতির খবর কয়েকদিন আগেই সংবাদ মাধ্যমগুলি শিরোনামে উঠে এসেছিল। কিন্তু এর পাশাপাশিই দেশের একাধিক রাজ্যে টিকা নষ্ট হয়েছে। আর সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ছত্তিশগড়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঝাড়খন্ড। তবে এক্ষেত্রে ভীষণ ভাল কাজ করেছে বাংলা, কেরলের মতো রাজ্যগুলি। এই রাজ্যগুলিতে টিকা অপচয় ঋণাত্মক। অর্থাৎ অপচয় তো নেই- ই, উল্টে যথাক্রমে -৫.৪% এবং -৬.৩% টিকা অপচয় রুখেছে এই দুই রাজ্য। যা সংখ্যার নিরিখে যথাক্রমে ১.৬ লক্ষ এবং ১.১ লক্ষ। সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
বরং এই রাজ্যগুলিতে এই বাড়তি টিকাগুলিকে বাড়তি ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে যেখানে ৩৩%, ১৫% টিকা নষ্ট হয়েছে, সেখানে দেশের মধ্যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলা। অন্য রাজ্যগুলির মতো বাংলা টিকাকরণ চলছে সমান তালে। সেখানে অপচয়ের পরিমাণ শূন্য থাকায় বাহবা পাচ্ছে রাজ্য।
এপ্রসঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা সিইও রাম শর্মা জানিয়েছেন, টিকার অপচয় যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ছোট ছোট টিকাকরণের কেন্দ্রগুলিকে যদি একটি বড় কেন্দ্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশে করোনা টিকা উৎপাদিত হচ্ছে মানেই টিকা নষ্ট করা যাবে, এমনটা নয়। তাই এই দিকটি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখতে হবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সংশোধিত টিকানীতিতে প্রতিষেধকের অপচয়ে রাশ টানতে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস টিকার অপচয় করলে প্রতিষেধক প্রদানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থাৎ মিলবে কম টিকা। সেই দিক থেকে অন্যান্য রাজ্য চিন্তায় পড়লেও বাংলাকে যে এই নিয়ে চিন্তা করতে হবে না তা মোটামুটি পরিষ্কার।