করোনা ভাইরাসের তৃতীয় সংক্রমণের ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়ার আগেই সকল দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দিতে চায় সরকার। কারণ, এই মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ভ্যাকসিন-ই। তাই সকলেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উদগ্রীব। কেবল শহরবাসী নয়, গ্রামের মানুষেরাও ভ্যাকসিন নেওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু তাঁদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোউইন পোর্টালে নাম নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া। কারণ গোটা প্রক্রিয়াটিই হয় অনলাইনে। আর সমীক্ষায় দেখা গেছে, তাঁদের অধিকাংশের হাতেই এখনও পৌঁছয়নি স্মার্ট ফোন।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, স্মার্টফোনে ‘কোউইন’ অ্যাপ না থাকলে গোটা ভ্যাকসিন প্রক্রিয়াই অচল। তারপর সেই অ্যাপের মাধ্যমে ধাপে ধাপে নিজের পরিচয়ের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। নথিভুক্তিকরণের সমগ্র প্রক্রিয়া ঠিকমতো সম্পন্ন হলে সরকারের তরফে ওই ‘কোউইন’ অ্যাপ মারফৎ গ্রাহককে টিকা নেওয়ার দিন, স্থান নির্ধারিত করে দেওয়া হবে। সেই নির্ধারিত দিনে সংশ্লিষ্ট টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে গ্রাহককে।
কিন্তু এত ঝক্কি পোয়ানো গ্রামের মানুষদের পক্ষে কোনোমতেই সম্ভব হচ্ছে না। গ্রামের সকলের হাতে স্মার্টফোন নেই। আর যাদের আছে তাঁরাও সেটি কতটা ব্যবহার করতে পারে, তা নিয়ে ঘোর সংশয় রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ভারতে প্রায় ৮৭ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তার মতে ৫৯ শতাংশ গ্রামের বাসিন্দা। তার মধ্যে ৪২ শতাংশ মানুষের হাতে স্মার্টফোন আছে। ফলে এখনও অনেক মানুষের হাতে মোবাইল থাকলেও স্মার্টফোন নেই। ফলে তাঁরা কীভাবে ভ্যাকসিন পাবেন? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রামবাসীদের মনে।