এবার রেজিস্ট্রেশন হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের। এখন থেকে চা-বাগানগুলিতে একটিমাত্র ব্যানারেই থাকবে তৃণমূলের সমস্ত শ্রমিক সংগঠন। এজন্য উত্তরবঙ্গের চা-বাগান সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে সংগঠনের জেলা ইউনিট গঠনের প্রস্তুতিও শুরু হচ্ছে। বাগানগুলিতে থাকবে জেলা ইউনিটের ১০ থেকে ১২ জন সদস্য। ইতিমধ্যে শাসকদলের একমাত্র শ্রমিক সংগঠনের অফিসও খোলা হয়েছে শিলিগুড়িতে। শুধু ভোটের কারণেই এতদিন নিয়ম গড়া হলেও তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি। এবার তা হবে।
দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চেষ্টা করে চলেছেন চা-বাগানগুলিতে দলের শ্রমিক সংগঠনগুলিকে একছাতার তলায় নিয়ে আসতে। এজন্য প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়েছেন তিনি। মলয় ঘটককে মুখ্যমন্ত্রী বারবার উত্তরবঙ্গে পাঠিয়েছেন। একাধিক শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মলয়বাবু বৈঠকও করেন। তৃণমূলের একটিমাত্র ইউনিয়ন গড়ে তোলার বিষয়ে জোরও দেন তিনি। তার রূপরেখাও তৈরি হয়ে যায়। শিলিগুড়িতে অফিস করে একমাত্র ইউনিয়ন গড়ার কথা জানিয়েও দেওয়া হয় দলের শ্রমিক নেতাদের। শুধু ভোট এসে যাওয়ায় রেজিস্ট্রেশন হয়নি। পাছে ভোটে এর প্রভাব পড়ে। ভোটপর্ব মিটে গিয়েছে। এখন জোরকদমে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দলের খবর, এই কাজ সম্পন্ন করবেন আইএনটিটিইউসির নবনিযুক্ত রাজ্যসভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে চা বাগানগুলিতে ঘুরে দলের কাজ করছেন ঋতব্রত। দলনেত্রীর সবুজসংকেত পেয়েই এই কাজে হাত দিতে চলেছেন তিনি। চিন্তাভাবনার পাশাপাশি দ্রুত দায়িত্ব পালনের কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন বলেই দলের খবর। ঋতব্রত জানান, “সবে দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করতে চাই যথাযথভাবে। বাগানে দলের শ্রমিক সংগঠন নিয়ে কাজ তো হবেই। নেত্রীর ইচ্ছেপূরণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” ঋতব্রতর কথায় একথা স্পষ্ট যে সংগঠনগুলিকে এবার এক ছাতার তলাতেই আনা হবে। কোনরকম অনৈক্য বরদাস্ত করা হবে না। দলের সব শ্রমিকনেতাকে একটি মাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে হবে।