প্রথম থেকেই কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লী সীমান্তে চলা কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নবান্ন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, ‘কেন্দ্র কৃষকদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা তাঁদের সঙ্গে আছি।’ সাফ জানিয়ে দিলেন, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে কৃষি আইন পাশ করিয়েছে। এই আইন বাতিল করতে হবে। এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করে নতুন করে কৃষি আইন প্রণয়ন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন মমতা। যার প্রতিদান দিয়েছেন দিল্লীর কৃষক নেতারাও। পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লী থেকে এসে বিজেপি বিরোধী প্রচার করে গিয়েছেন তাঁরা। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামেও প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ভোটের আগে মমতার সঙ্গে যে সুসম্পর্ক শুরু হয়েছে, ২৪-এর লোকসভার আগে তা আরও পোক্ত করার লক্ষ্যেই রাজ্যে এসেছিলেন কৃষক নেতারা।
এদিন কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষক নেতারা চাইছেন সব বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে একত্রিত করে একটি ভারচুয়াল সভার আয়োজন করা হোক। সব রাজ্যকে একত্রিত করে আন্দোলন করা হোক। যা তিনি সমর্থন করেছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সব বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ‘এমন সব আইন পাশ করিয়েছে যাতে আজ কৃষি-শিল্প সব সমস্যায়। কৃষি আইন বাতিল করুক কেন্দ্র। আইন পাশ করানোর আগে কৃষকদের সঙ্গে কেন কথা বলেনি? জোর করে পাশ করিয়েছে। এটা সাত মাসের আন্দোলন। আর খালি পাঞ্জাব-হরিয়ানার বিষয় নয়, এটা গোটা দেশের বিষয়। সব রাজ্যকে একত্রিত করে আন্দোলন করতে হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলব।’
মমতার প্রশ্ন, ‘রোজ পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। কৃষকরা চাষবাস কী করে করবে?’ এদিকে মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন টিকায়েত বলেন, ‘বিজেপিকে ভোট দেবেন না। বিজেপি দেশের ক্ষতি হয়েছে। মমতা দিদি বাংলাকে বাঁচিয়ে নিয়েছেন। এবার দেশ বাঁচানোর পালা। বিজেপি থাকলে দেশ থাকবে না। বিজেপি না থাকলে দেশ বাঁচবে।’ কৃষক নেতাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের জন্য এমন একটা ব্যবস্থা করুন যাতে গোটা দেশে তা রোল মডেল হয়।