এবার থেকে মৃত গবাদি পশু বিক্রি করলেই সঙ্গে সঙ্গে ‘অ্যাকশন’ নেবে রাজ্য। হ্যাঁ, দুর্যোগের জেরে মৃত গবাদি পশুর মাংস অসাধু উপায়ে বিক্রি বা বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ এবং ভিজিল্যান্সকে এর জন্য নজরদারি ও প্রয়োজনে হানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে মরা পশুগুলোকে হোটেলে হোটেলে বিক্রি করে। আর সেই পচা জিনিস লোককে খাওয়ায়। কয়েকটা জায়গা আছে, বন্যায় যেগুলো মারা যায় সেখানে তারা রেখে দেয়। কয়েকটা স্পট আছে। একবার রেড করা হয়েছিল। ধরা পড়ে গিয়েছিল।’
পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘সেটা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখুন। নাকা চেকিং এবং মরা পশু কোথাও রাখা হচ্ছে কি না বা বিক্রি করা হচ্ছে কি না, কোনও হোটেলে বা দোকানে সাপ্লাই করা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কেউ এমন করলে সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু অ্যাকশান নিতে হবে।’ এমন পশু মিললে সেগুলো তুলে এনে দাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, প্রমোদনগরে পশুদের ক্রিমেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে এই কাজ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় যশের জেরে বেশ কিছু জায়গা বানভাসি হয়ে যাওয়ায় বহু গবাদি পশু মারা গিয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু পোল্ট্রিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থার সুযোগ য়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনওভাবেই মৃত পশুর মাংস বাজারজাত করতে না পারে, তার জন্য প্রশাসনকে কড়া নজরদারি ও প্রয়োজনে এই সমস্ত জায়গায় হানা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যে সমস্ত জায়গায় গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে সেখান থেকে দেহগুলিকে দ্রুত সরিয়ে ফেলে সেগুলি দাহ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।