একুশের ভোটে মমতার পর তিনিই ছিলেন দলের দ্বিতীয় তারকা প্রচারক। জেলায় জেলায় ঘুরে যেমন প্রচার করেছেন। তেমনি ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে দলের নিয়ে আসার সিদ্ধান্তও ছিল তাঁরই। তাঁর সেই পরিশ্রম এবং সিদ্ধান্তের ফল পেয়েছে তৃণমূল। আর তারই পুরষ্কার স্বরূপ শনিবার তৃণমূলের যুবনেতার পদ থেকে সরাসরি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকে উত্তরণ ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে নতুন পদে ৪৮ ঘণ্টাও হয়নি, এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি।
এদিন নাম না নিয়ে তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতা সম্বোধন করে অভিষেক বলেন, ‘কুৎসা না করে বিরোধী দলনেতার কাজ করুন। দিল্লীর তল্পিবাহক হতে গিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করছেন। হুমকি দিচ্ছেন, বাংলার ৪০ লক্ষ মানুষ বিজেপি শাসিত রাজ্যে কাজ করেন, তাঁদের দেখে নেওয়া হবে বলে। এই ধরনের কথা বাংলার মানুষ সহ্য করেন না, পছন্দ করেন না।’ তাঁর সংযোজন, ‘বিরোধী দলনেতাকে অনুরোধ করব গঠনমূলক আলোচনা করুন। কুৎসা না করে বিরোধী দলনেতার কাজ করুন। ৪০ লক্ষ বাঙালি বাইরে থাকে। শুধরে যান না হলে দেখে নেব। এমন হুমকি দিয়েছেন কানে এসেছে। এই ধরনের কথা মানুষ পছন্দ করে না। বিরোধী দলনেতার যেটা কাজ সেটা করুন।’